কক্সবাজারে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। শুধু গত আগস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৬৭ জন নারী। সর্বশেষ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজার শহরের পৃথক দু’টি কটেজে তিন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ২ জন নৃত্যশিল্প ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসেছিলেন। অপরজন কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলের বাসিন্দা। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় আটক করা হয়েছে দু’জনকে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনে পৃথক স্থানে তিন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দুটি ট্যুরিস্ট পুলিশকে দেয়া হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার মোহাজের পাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের ছেলে সোলাইমান শামীম (২৩) ও সদর উপজেলার খুরুশকুল মেহেদী পাড়া এলাকার খালেক।
তথ্য মতে, শুধু আগস্ট মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৬৭ জন নারী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই মাসে ধর্ষণের শিকার নারীর সংখ্যা ২৬ জন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস’ (ওসিসি) এ দায়িত্ব প্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা লাইলা বলেন, এক মাসে ৬৭ জন ভুক্তভোগী ধর্ষণের চিকিৎসাসেবা নিতে হাসপাতালে এসেছেন। জেলা প্রশাসনের এক গোপন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গেল আগস্ট মাসে প্রথম পক্ষকালে ১৫ জন এবং দ্বিতীয় পক্ষকালে ১১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রেম ঘটিত বিষয়, বিয়ের প্রলোভন কিংবা ২ জনের সম্মতিতে যৌন সংগমের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলা হচ্ছে।
আমরা যখন তদন্ত করি তখন এসব বিষয় উঠে আসে। তবে কিছু কিছু মামলায় জোরপূর্বক ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।