বান্দরবানের আলীকদম বাজারে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাব্বির হাসান, পিএসসি’র নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মোঃ সোয়াইব উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে ২৮ নভেম্বর (সোমবার) সকাল সাড়ে দশটায় আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাজার ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জোন কমান্ডার।
এ সময় জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাব্বির হাসান পিএসসি বলেন, আলীকদম বাজারে প্রায় সময় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে। পরিস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। আমরা যদি সবাই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি তবে সুন্দর, স্বাস্থ্যকর আলীকদম উপজেলা গঠন করা যাবে। এ কাজে তিনি স্থানীয় নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এরপর তিনি একটি প্রতীকি আয়োজনের মাধ্যমে বাজার পরিস্কারের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন।
পরে জোন কমান্ডার ও ইউএনও’র নেতৃত্বে আলীকদম বাজারের গলিপথগুলি পরিস্কার করা হয়।
এ সময় তাঁরা নিজেরাই রাস্তার ময়লা কুড়িয়ে ঝুড়িতে ভরেন। তাঁদের দেখাদেখি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ক্রেতা সাধারণ ও সাংবাদিকরাও বাজারের ময়লা পরিস্কারে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বান্দরবান বাজার ফান্ড প্রশাসনের অধীন আলীকদম বাজার ১ম শ্রেণির মর্যদাপ্রাপ্ত একটি ‘সরকারি বাজার’।
তা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বাজার ফান্ডের তদারকির বাইরে রয়েছে এ বাজারটি। বাজার ফান্ডের ম্যাপ, প্লট ও স্টল বরাদ্দপত্রের চৌহদ্দির বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজারের গলিপথ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এতে সংশ্লিষ্ট বাজার চৌধুরী সম্পূর্ণ উদাসীন রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাজারের দীর্ঘ কয়েক দশকের ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা সমর রঞ্জন বড়ুয়া জানান, ‘আলীকদম বাজারের গলিপথ শেষে ডাস্টবিন ছিল আগে। এখন নেই। অবৈধভাবে সেসব ডাস্টবিন প্লট করা হয়েছে।’ অভিযোগ রয়েছে, বাজার চৌধুরৗ ও ব্যবসায়ীদের কার্যকর মনিটরিং না থাকার কারণে আলীকদম বাজারের অলিগলি প্রায়সময় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এর ফলে পুঁতি দুর্গন্ধে এবং অস্বাস্থ্যকরভাবে বাজারের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ বিষিয়ে উঠে।
সম্প্রতি এ বিষয়টি আলীকদম সেনা জোনের অধিনায়কের নজরে আসলে তিনি বাজারের গলিপথের অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং ময়লা পরিস্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেন। এ ধারাবাহিকতায় জোন কমান্ডারের নেতৃত্বে ইউএনও, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা বাজারের ময়লা পরিস্কারে অংশ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
গত প্রায় একসপ্তাহ ধরে বাজার গলিপথ দখলমুক্ত করাসহ বাজার সেডগুলি যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে জোনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বাজারের কিছু ডাস্টবিন, বাজারের সরকারি স্থাপনা অবৈধভাবে প্লটে রূপান্তর এবং দখলদারের কবলে রয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জোন কমান্ডর ও ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেন।