খুবই সুলভ মূল্যে ‘মহেশখালী’ নামক এই যে এই দ্বীপটা বিক্রি করা হবে। এই যে মশাই, আসুন, দেখুন, এখানে আকর্ষণীয় সব অফার আপনার জন্য রয়েছে।
আপনি চাইলে এই যে মাঝখানে পাহাড় গুলো দেখছেন সারি সারি, দুর্গমতার চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এগুলো টুকরো টুকরো করে কেটে কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে পারবেন পুডিং-এর মতো। খুবই সুস্বাদু হবে আসলে। এতে যে রস জমা হয়ে আছে কয়েক শতাব্দী ধরে, সেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হবে।
এরপর এইখানে একটা চমৎকার রাজপ্রাসাদ আপনি তৈরি করে নিতে পারেন আপনার সুবিধা মতো।
এইখানকার বন্য পাখি আর প্রাণী গুলোর কথা আর নাই বললাম, কী যে অসাধারণ বুঝলেন! হালকা ঝাল দিয়ে, ছোপ ছোপ করে হালকা ঝোল দিয়ে যখন রান্না করবেন, ডেকচির ঢাকনা আলগাতেই আপনার জিভে জল এসে যাবে নিশ্চিত।
এইযে একদম পশ্চিমে প্যারাবন দেখছেন না? আপনাকে প্রথমে করতে হবে কী, গাছ গুলো কেটে ফেলতে হবে, বুঝেছেন? প্রচুর মশা থাকে কিনা! আবার ডেঙ্গু হয়ে যেতে পারে আপনার। আর কী বিশাল একটা খোলা জায়গা তৈরি হবে ভেবে দেখেছেন? হাহা!
এইযে চারদিকে সারি সারি মাছের ঘের আর লবণের মাঠগুলো দেখছেন না, এগুলো হবে আপনার প্রধান ইকনোমিক জোন। এইখানে চারদিকে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, কয়লা আর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে প্রচুর। এই ধরেন ৩০/৪০ টা। এই বিদ্যুৎ শহরের পাড়াগুলোতে সাপ্লাই করে আপনি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা থুক্কু বঙ্গীয় মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন।
সোনাদিয়া, হাঁসেরচর, বরদিয়া এগুলো হবে আপনার বিকেল টাইমের বিনোদনের জায়গা। বউ বাচ্চা নিয়ে এইখানে আপনি চমৎকার অবসর কাটাতে পারেন। বাকি সময় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ভাড়াও দিয়ে দিতে পারেন সমস্যা নাই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এইখানকার বেজন্মাগুলা যেগুলা আগে এইখানে বাস করতো, অরা যেন কোনমতে ঢুকতে না পারে। খুবই খচ্চর এগুলা, বুঝচ্ছেন!
স্যরি অপ্রমিত ভাষায় কথা বলে ফেললাম, রাগ উঠলে বুঝলেন, ভাষার ঠিক থাকে না। যাই হোক। এই যে দেখুন, কী চমৎকার দ্বীপ! খুবই সুলভমূল্যে পাচ্ছেন।
লিখেছেন- হামিদুল ইসলাম আরফাত
শিক্ষার্থীঃ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়