কক্সবাজারের পেকুয়ায় চালককে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় ওই দুবৃর্ত্তরা একটি অটোরিক্সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জখমী ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
১৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী দক্ষিণপাড়ায় রাজাখালী-নাপিতখালী পারাপার লালজানপাড়ার ব্রীজের নিকট এ ঘটনা ঘটে।
আহত টমটম চালকের নাম নুরুল কাদের (৩৭)। তিনি পশ্চিম টইটং কাদিরিয়াপাড়ার বাদশাহ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই দিন বিকেলে নুরুল কাদের অটোরিক্সা নিয়ে যাত্রীসহ টইটং বাজার থেকে রাজাখালী আরবশাহ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নাপিতখালী দক্ষিণপাড়ায় লালজানপাড়া ব্রীজের নিকট পৌছলে গাড়ীটি গতিরোধ করা হয়। এ সময় চালককে গাড়ী থেকে টানা হ্যাঁচড়া করে নামিয়ে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে একটি দোকানের মধ্যে তাকে আটকিয়ে রাখে। সেখানে ৪/৫ জনের দুবৃর্ত্তরা টমটম চালক নুরুল কাদেরকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে নিষ্টুরভাবে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাকে দোকান থেকে বের করে চলাচল রাস্তায় ফেলে গাড়ীটি নিয়ে সটকে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অজ্ঞান অবস্থায় তাকে সড়ক থেকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
আহত নুরুল কাদেরের ভাই শাহজাহান বলেন, আমার ভাই যাত্রী নিয়ে টইটং বাজার থেকে আরবশাহ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। লালজানপাড়া ব্রীজের নিকটে তাকে হামলা করা হয়। রবি আলমের চায়ের দোকানে আটকিয়ে রাখে। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে সর্বশরীরে ফুলা ও নীলাফুলা জখম করে।
তিনি আরো জানান, নাপিতখালীর সিকদারপাড়ার মৃত আকতার আহমদের ছেলে মো: হানিফ প্রকাশ লিটনের ইন্দনে নাপিতখালীর দক্ষিণপাড়ার মোহাম্মদ হোছনের পুত্র খানে আলম, রবি আলমসহ ৪/৫ জন মিলে পিটিয়ে জখম করে। তারা গাড়ীটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে সর্বশরীরে আঘাত করেছে।
বৃহত্তর মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার কামাল চৌধুরী প্রকাশ ওয়াইশ্যা মিয়ার ছেলে উজানটিয়ার করিমদাদ মিয়ার বাড়ীর নুরুল কায়েস জানান, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসেছি। নুরুল কাদের আমার জমি চাষ করে। লিটনের ইন্দনে এ হামলা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) তাজ উদ্দিন জানান, ওই আহত ব্যক্তিকে আমি দেখেছি। আগে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। বিষয়টি ১ জন পুলিশ অফিসারকে দেখতে বলে দিয়েছি।