কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক শহীদদের সম্মানে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া।
সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি প্রফেসর এ কে এম গিয়াস উদ্দিন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সন্তোষ শর্মা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল হামিদ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর সুকুমার দত্ত, শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে আইন বিভাগের প্রভাষক অরূপ রতন সাহা বক্তব্য রাখেন ।
আলোচনা সভায় আলোচকগণ বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির চিরগৌরবের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর আলবদর, আলশামস বাহিনী।
দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বিক্রমের সামনে টিকতে না পেরে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি হানাদাররা যখন মাথা নত করে আত্মসমর্পনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তার অব্যবহিত আগে তারা জাতিকে মেধাহীন করে দিতে এই জঘন্য নীলনকশা এঁকেছিল।
বাঙালি জাতিকে মেধা-মননহীন করে তুলতে তারা বেছে বেছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ সমাজে সৃজনশীলতায় অগ্রণী মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে।
বক্তারা আরো বলেন, বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের চোখ ও হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘাতক পাকিস্তানি বাহিনীর এই সুপরিকল্পিত হত্যার পরিকল্পনাটি প্রকাশ পায়।
এই জঘন্য হত্যাকান্ডে স্তম্ভিত হয় বিশ্ববিবেক। পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিষয়টি কেবল রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। পাকিস্তানি ঘাতক সেনা ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস চক্র সারা দেশে গণহত্যার শুরু থেকেই শিক্ষক, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সমাজসেবকসহ অগ্রণী চিন্তার মানুষদের ধরে ধরে হত্যা করেছে।
জাতি আজ ১৪ ডিসেম্বর বিনয় ও পরম শ্রদ্ধায় এই শহীদ বুিদ্ধজীবীদের স্মরণ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ রাজিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।