স্ত্রী অবাধ্য হয়ে স্বামী সন্তান রেখে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় চরম অভিমানে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপের রজালিয়া পাড়ায় স্বামী ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিষপান করেছে। এতে বাপ-মেয়ের মৃত্যু হলেও মূমুর্ষ দুই ছেলে-মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়,১২ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ায় দরিদ্র জেলে পরিবার আনোয়ারের ঘরে প্রতিবেশীরা কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে উঁকি দিয়ে দেখে সকলে মৃতের মত পড়ে আছে। স্থানীয়রা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করে। তখন স্হানীয় মানুষজন ও শাহপরীরদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
বিষপানে মূমুর্ষ দুই শিশু শিশু মাহিয়া (৪) ও জাবেদ (২) কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বর্তমানে দুই শিশুকে সংকটাপন্ন অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার বিকালের দিকে স্বামী রোহিঙ্গা আনোয়ার এবং স্ত্রী রেহেনার মধ্যে দাম্পত্য কলহ নিয়ে চরম গালমন্দ ও ঝগড়ার সুত্রপাত হয়।
এরই জেরধরে বিকালে স্ত্রী রেহেনা পার্শবর্তী পিতা ইমাম শরীফ প্রকাশ কানপুরুর বাড়িতে চলে যায়।
এতে স্বামী চরম অভিমানে নিজে আত্নহত্যা করে ছেলে-মেয়েদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। স্ত্রী তা কর্ণপাত না করায় সে ছেলে-মেয়ে নিয়ে আত্নহত্যার লক্ষ্যে বিষাক্ত দ্রব্য খায়।
শাহপরীরদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান,মারা যাওয়া দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর দুই শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।