কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্লিনিং মিশনে অংশ নেয়া আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন সদস্যরা। এসময় আরও ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার ভোর ৪টারদিকে উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাশিয়া পুলিশ ক্যাম্পের অধীন লোহার ব্রীজ এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ইলিয়াস নামে এক রোহিঙ্গা আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন ১৪নং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ‘এপিবিএন’র অধিনায়ক মো: নাইমুল হক।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ধৃত আসামী আজিজুল হক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মাস্টার মহিবুল্লাহকে হত্যার দুই দিন আগে রাত অনুমান ১০ টারদিকে নাম্বাশিয়া মরকজ পাহাড়ে একটি মিটিং হয়। উক্ত মিটিং এ ঝিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ধৃত আসামী আজিজুল হকসহ আরও ৪ জন উপস্থিত ছিল। তথাকথিত দুর্বৃত্তদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মহিবুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে মর্মে উক্ত মিটিং এ আলোচনা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয় যে, মাস্টার মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের বড় নেতা হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় দিনে দিনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়ে উঠেছে। তাকে থামাতে হবে। পরবর্তীতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তিনি জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক জানিয়েছেন মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকান্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১৯ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অংশ নেয়।
দায় স্বীকার করে আজিজুল জবানবন্দি :
মুহিবুল্লাহর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন কিলিং মিশনে অংশ নেয়া আজিজুল হক।
শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালত দেয়া জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আজিজুল হক বলেছেন, ঘটনার সময় অস্ত্র নিয়ে মুহিবুল্লাহর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। মুহিবুল্লাহকে অফিসের ভেতরে তিন রাউন্ড গুলি করেন মাস্টারমাইন্ড মাস্টার আবদুর রহিম। সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন। তাদের গুলি মিস হলে মুহিবুল্লাহকে গুলি করার জন্য প্রস্তুত ছিল আজিজুল হক।
জবানবন্দিতে আরও বলেছেন, মাস্টার আবদুর রহিমের গুলিতে মুহিবুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিলিং মিশনে ১৯ জন অংশ নেন। এতে একেক জনকে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব দিয়েছিলেন আবদুর রহিম।