গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কর্তৃক নিবন্ধন সনদ পেয়েছে রামুর ‘রশিদনগর সোশ্যাল এন্ড বিজনেস যুব সংগঠন’। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি সমাজে উগ্রবাদ-সহিংসতা, বাল্য বিয়ে ও মাদক প্রতিরোধে অনন্য ভূমিকা পালন করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এছাড়া সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক, ক্রীড়া কর্মকান্ড এবং সংগঠনের ১০০ জন সদস্যের নিয়মিত চাঁদার অর্থে শরিয়াহ ভিত্তিক পন্য বিক্রি করে এলাকার অসংখ্য বেকার যুবগোষ্ঠিকে স্বাভলম্বী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনের এমন প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ কক্সবাজার জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে। মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে সংগঠনের সদস্যদের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেন- রামু উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নূরে আলম মজুমদার।
নিবন্ধন পেয়ে ‘রশিদনগর সোশ্যাল এন্ড বিজনেস যুব সংগঠন’ এর সভাপতি মোর্শেদ মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন- সংগঠনের ১০০ জন সদস্য রয়েছেন। যারা প্রতিমাসে সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড এবং বিজনেস ফান্ডের জন্য পৃথক চাঁদা দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে সেবামূলক খাতের অর্থে অসুস্থ ও হতদরিদ্র ব্যক্তিদের অর্থ সহায়তা, বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ, পবিত্র রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, উগ্রবাদ সহিংসতা-বাল্য বিয়ে-মাদক প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিজনেস ফান্ডের অর্থে ইজিবাইক, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন পন্য কিনে সহজ কিস্তির মাধ্যমে বা স্বল্প লাভে বিক্রি করে বেকার জনগোষ্ঠিকে কর্মসংস্থান পেতে সহায়তা করা হচ্ছে।
তারা আরও জানান- ইতিপূর্বে এলাকার একঝাঁক যুবক বেসরকারি সংস্থা ইপসার মাধ্যমে উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ পেয়ে সমাজকে আলোকিত করার প্রয়াসে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু করে। এমনকি পরবর্তীতে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা ও নিবন্ধন পেতেও ইপসা তাদের সার্বিক সহায়তা দিয়েছে। এজন্য ইপসা কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন ও সম্পদ আহরণ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এজন্য তারা ইপসা’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বর্তমানে রশিদনগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিজস্ব কার্যালয়ে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
‘রশিদনগর সোশ্যাল এন্ড বিজনেস যুব সংগঠন’ কে নিবন্ধন দেয়ায় কক্সবাজার জেলা ও রামু উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা আরও বলেন- আগামীতে এ সংগঠন ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এলাকার বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এছাড়া রশিদনগর ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ইউনিয়নে রুপান্তরেও সংগঠনের সদস্যরা চলমান কর্মকান্ড অব্যাহত রাখবে।