বান্দরবান, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মশিউর রহমান বলেছেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ও বিভিন্ন অবকাঠামো দ্রুত সময়ে সংস্কার করা হবে, আর দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পার্বত্য অঞ্চলের বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য বান্দরবানে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন পার্বত্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্বচক্ষে দেখার জন্য বান্দরবান জেলা সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি সড়কগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন সচিব।
একসাথে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও প্রকৃত সংস্কার খরচ কত হতে পারে তা নির্ধারণ করে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ে ব্যয় প্রাক্কলন প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন পার্বত্য সচিব।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গে পার্বত্য সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, দুর্যোগ যেকোন সময়ই আসতে পারে আর তাই সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং বিভিন্ন স্থাপনা ও উন্নয়ন অবকাঠামোসহ সড়ক নির্মাণে উঁচু স্থানকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীতে পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা হবে যাতে বন্যা বা বড় দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
সচিব মো.মশিউর রহমান আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সফরের প্রথমদিনে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি উপজেলা সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহ পরিদর্শনসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন দফতরের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন তিনি। পার্বত্য অঞ্চলে পানি সংকট নিরসন প্রসঙ্গে সচিব বলেন পার্বত্য অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জলবদ্ধতা দূরীকরণে বিজ্ঞানসম্মত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য অঞ্চলে উন্নত মানের তুলা, ইক্ষু, কাজুবাদাম, বিভিন্ন মৌসুমী ফল ফলদ উৎপাদনকারী কৃষকদের মোটিভেশন করাসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন পার্বত্য সচিব মশিউর রহমান এনডিসি। তিনি বান্দরবান থানচি রোডে কৃষকদের উৎপাদিত ইক্ষু বাগান, তুলা বাগান, মিশ্র ফল বাগান পরিদর্শন করেন এবং চাষীদের সাথে কথা বলেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মো.জসিম উদ্দিন, সদস্য মো. হারুন-অর-রশীদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জিয়াউর রহমান, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মুহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।