কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের ঈদগড় সড়কের পানেরছড়া ঢালা থেকে অপহ্নত দুই যুবককে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছে পরিবার। সোমবার দিবাগত রাতে দুই যুবককে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরদিন মঙ্গলবার সকালে অপহরণের কথা পরিবারকে জানিয়ে দুই লক্ষ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
অপহৃত দুই যুবক হলেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তিতারপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে নুরুল মোস্তফা (২৩) ও বাইশারী লম্বাবিল এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৩)।
নুরুল মোস্তফা ও রাশেদুল ইসলামের পরিবারের দাবি , সোমবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঈদগাঁও হয়ে ঈদগড় – ঈদগাঁও সড়ক দিয়ে বাইশারীতে আসছিল তারা। পথিমধ্যে রামু উপজেলার দুর্গম ঈদগড়ের ঢালায় আসা মাত্রই অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ অপহরণকারীরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি গতিরোধ করে। এসময় সংঘবদ্ধ শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা ২ যুবককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গেলেও মোটরসাইকেলের ড্রাইভার সাইফুলকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
তারা আরও জানান, মঙ্গলবার অপহরণকারীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। এই মুক্তিপণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মঙ্গলবার অপহৃত ২ যুবককের লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
অপহরণের বিষয়ে ঈদগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, লোকজনের অভিমত অপহরণ হয়েছে। যেখানে অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে পুলিশের টহল ছিল রাত ১২ টা পর্যন্ত। তাই অপহরণের বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন- ডাকাতি, অপহরণ হওয়ার ঘটনাটি তিনি অবগত নয়। তিনি আজ রামু থানার ওসির হিসেবে জয়েন করেছেন, তাও তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে রাশেদুল ইসলামের বড়ভাই হামিদ উল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার রাতে অপহৃত দুইজনকে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে হিমছড়ি ঢালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।