কক্সবাজারের চকরিয়া ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় ট্রাক চালক মাসুদুর রহমান বাদশা (৩৯) কে গ্রেফতার করেছে র্যাবের সদস্যরা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক(ভারপ্রাপ্ত) মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেজর সাদিকুল হক বলেন, গত ২৪ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকার চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী একটি ট্যাংক লরি ট্র্যাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে অটোরিকশাটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা ৬জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়।
এসময় লরির চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশে থাকা লোকজন উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে দুই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত দুই নারী হলেন পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৪৫) ও তার মেয়ে জেসমিন আক্তার।তবে নিহত জেসমিন আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং অনাগত সন্তানও মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার পরপর নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামী আব্দু সালাম বাদী হয়ে ট্যাংক লরিটির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামী করে চকরিয়া থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হলে নজরে আসে র্যাবের কাছে।পরে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব জানতে পারে লরির চালক মাসুদুর রহমান বাদশা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থান করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কে সাথে নিয়ে গতকাল রাত (৩০ আগস্ট)২ টা ১০ মিনিটের সময় সীতাকুন্ডের ছোট কুমিরা এলাকা হতে অভিযুক্ত মাসুদুর রহমান বাদশাকে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে সে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং লরিটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালানোর ফলে দুর্ঘটনা হয়েছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতার হওয়া মাসুদুর রহমান বাদশা নোয়াখালী সুধারাম থানার নেসপুর এলাকার রফিকুল্লাহর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক।