নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হলেও ইতোমধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী আবহ শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ডুলাহাজারা ইউনিয়নে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার টিকেট পেতে মাঠে একাধিক প্রার্থী মাঠ থেকে শুরু জেলা উপজেলা এমনকি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তরে ইতোমধ্যে জোর লবিং তদবিরও শুরু করেছে।
নির্বাচন কমিশনের পূর্ব ঘোষণা মতে, আগামী মাসে অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোন সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ পেতে ‘সম্ভাব্য প্রার্থী’ ঘোষণা দিয়েছে প্রায় এক ডজন। তাদের মধ্যে সাংবাদিকসহ সর্বাধিক সংখ্যক রয়েছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তবে মাঠে দেখা মিলছে না বিএনপি দলীয় কোন প্রার্থীর।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় পাটির (এরশাদ) উপজেলা সভাপতি আলহাজ মো. নুরুল আমিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ তালুকদার, ক্রীড়া সংগঠক সাংবাদিক এম.আর মাহাবুব, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ আজিজুল মন্নান, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি হাজী জামাল হোছাইনের ছেলে সাবেক ছাত্রনেতা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সদস্য কলিম উল্লাহ কলি, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসানুল ইসলাম আদর, বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি কামাল হোসেন চেয়ারম্যানের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিনহাজ হোছাইন জিকু ও জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হক।
অন্যদিকে বর্তমানে এলাকায় লোকমুখে প্রচারণা চললেও নিজ থেকে চুড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে আরো কয়েক জনের। তারা হলেন বিএনপি থেকে সোহেল মাহমুদ ভুট্টো, মাষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান, ডুলাহাজারা ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামিলীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেতে ইতোমধ্যে জেলা উপজেলা এমনকি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তরে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক প্রার্থী। তাদের মধ্যে আছেন মোক্তার আহমদ চৌধুরী, শাহনেওয়াজ তালুকদার, ডাঃ আজিজুল মন্নান, কলিম উল্লাহ কলি, হাসানুল ইসলাম আদর, মিনহাজ হোছাইন জিকু।
এলাকায় প্রচার আছে, এবারের নির্বাচনে নৌকার টিকেট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে দুই প্রার্থীকে ঘিরে। তাদের মধ্যে তরুন আওয়ামীলীগ নেতা কলিম উল্লাহ কলির বেশ নাম শুনা যাচ্ছে সর্বমহলে। কারণ তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি হাজী জামাল হোছাইনের ছেলে। তাঁর জেঠা বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি কামাল হোসেন চেয়ারম্যান। তাঁর দাদা প্রয়াত মফজল আহমদ ছিলেন ডুলাহাজারা ইউনিয়নের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তাঁর পরিবারটি একটি নির্ভেজাল আওয়ামী পরিবার হিসেবে চিহিৃত। সেই কারণে এবারের নৌকার টিকেট তাঁর হাতে আসতে পারে এমন ধারণা করছেন স্থানীয় জনগন থেকে শুরু করে দলীয় সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
কলিম উল্লাহ কলির পর মনোনয়ন দৌঁড়ে বেশ এগিয়ে আছেন যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদর। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমের আস্থাভাজন হিসেবে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া তাঁর কাছে বেশ সহজ হবে বলে মনে করছেন সাধারণ জনতা। পাশাপাশি তিনিও আওয়ামীলীগের উপজেলা জেলা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে জোরালো লবিং চালাচ্ছেন।
ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগাম বার্তায় নড়েচড়ে বসেছে ডুলাহাজারা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের আশির্বাদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে তৃনমুল নেতা কর্মীরা জানায়, আমরা ক্লীন ইমেজের প্রার্থী চাই। মনোনয়নের জন্য যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা সবাই দলের ত্যাগী নেতা। তবে অনেকের বিতর্কও কম নেই। আশাকরি জননেত্রী সঠিক ব্যক্তির হাতে নৌকা তুলে দিবেন। যাথে নৌকার সম্মান সাধারণ মানুষের নিকট যথাযথ বজায় থাকে।