কুতুবদিয়ায় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের গুলীতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হালিমের হত্যার বিচার দাবি করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় আবদুল হালিমকে হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার দাবী করা হয়।
গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) কুতুবদিয়ার বড়ঘোপে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে ব্যালট ছিনতাই চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে পুলিশের গুলীতে মারা যান আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম। ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন পরবর্তী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনিবাহী সংসদের এক সভায় বলা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম প্রশাসনের গুলিতে নিহত হন।
সভায় তার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং শোক প্রকাশ করা হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কক্সবাজার জেলার ২টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তাদেরকে সহায়তাকারী দলীয় নেতাদের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তাদেরকে চুড়ান্ত ভাবে বহিস্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বরাবরে সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।
সভায় নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ পূর্বক ভবিষ্যত নির্বাচন নিয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্ম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় মহেশখালী পৌরসভায় পর পর ৩ বার নির্বাচিত মেয়র জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া ও চকরিয়া পৌরসভায় ২য় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় আলমগীর চৌধুরীকে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দলীয় ভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দকে অভিনন্দন জানানো হয়। সভায় নির্বাচন নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিমের সকল সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, এম.আজিজুর রহমান, রেজাউল করিম, আশেক উল্লাহ রফিক এম.পি, মাহাবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এড. আয়াছুর রহমান, ইউনুছ বাঙ্গালী, এড. মমতাজ আহমদ, এ.টি এম জিয়া উদ্দিন, আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, আলহাজ্ব সোনা আলী, শফিউল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন-এড. বদিউল আলম সিকদার, জাফর আলম চৌধুরী, লেঃ কর্ণেল অবঃ ফোরকান আহমদ, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম কুতুবী, হেলাল উদ্দিন কবির, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এড. তাপস রক্ষিত, এড. ফরিদুল আলম, ড. নুরুল আবছার, এম.এ. মনজুর, আদিল উদ্দিন চৌধুরী, এড. সোলতানুল আলম, এড. অরুপ বড়–য়া তপু, এড. আবদুর রউফ, মিজানুর রহমান, বদরুল হাসান মিলকী, আমিনুর রশিদ দুলাল, মিজানুর রহমান ইকরা।