চকরিয়ায় ডাকাতি,খুন,চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের দখল ও অপহরণকারি চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব; এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ দেশিয় তৈরী বন্দুক ও ৫২ রাউন্ড গুলিসহ সরজ্ঞামাদি।
মঙ্গলবার ( ২ জুন) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন, র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
আটকরা হল, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা আকবর আহম্মদের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৫), তার ভাই কামাল আহম্মেদ (৪২) ও আব্দুল মালেক (৩২) এবং মৃত জহির আহম্মেদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
র্যাব জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে নুরুল আমিন ছাড়া অপর তিনজনই আপন সহোদর। তারা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদলের সদস্য। এসব অপরাধীরা ‘বেলাল বাহিনী’ নামের ১৮ থেকে ২০ জনের একটি দল গড়ে তুলে মৎস্য ঘের জবরদখল, লুট ও অপরহণসহ নানা অপরাধ সংঘটন করে আসছিল।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সোমবার মধ্যরাতে চকরিয়ার উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন মৎস্য ঘের দখল ও লুটপাতের উদ্দ্যেশে জড়ো হয়েছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের অবস্থান করা সন্দেহজনক এলাকাটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮-১০ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
“ পরে আটকদের দেওয়া তথ্য মতে, ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশী চালিয়ে পাওয়া যায় দেশিয় তৈরী ১০ টি বন্দুক ও বিভিন্ন ধরণের ৫২ টি গুলি। “
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, “ আটকরা সকলে চিহ্নিত ডাকাতদল বেলাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। আটকদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন ও অপহরণসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। “
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মঙ্গলবার অস্ত্রসহ আটকদের বিরুদ্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চকো/জে