পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর বাজার হতে অপহৃত শিশু তানজিমুল হকের মা-বাবা রাত ১০টায় আইনী সহায়তার জন্য লামা থানায় আসে। পুলিশ জানামাত্র রাতেই অভিযানে নামেন। পুলিশ অবহিত হওয়ার ৬ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটক করে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র তানজিমুল হক কে বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী দুপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করছে অপহরণকারীরা। লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বনপুর বাজার এলাকার এই ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবা-মা বান্দরবানে কাজে গেলে সুযোগ বুঝে বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অপহরণকারী আবচার ও নুর হোসেন তাদের পূর্ব পরিচিত। টাকা না দিলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ২৫ জানুয়ারী সকাল অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় তাঁর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (১৪), মোঃ এরফান (১২), তানজিমুল হক (১০)কে বাড়িতে রেখে তার স্বামী ও ছোট মেয়ে তানজিলা সুলতানা(৫) কে নিয়ে জরুরী কাজে বান্দরবান সদরে যায়। একই তারিখ বিকাল অনুমান ৪.০০ ঘটিকার সময় বাড়ীতে এসে ভিকটিম তানজিমুল হক (১০) কে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে অপহরণকারীরা বাদীকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, অপহরণকারীরা তানজিমুল হক (১০) কে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আটক করে রাখেন। ছেলেকে পেতে হলে মুক্তিপন বাবদ অপহরণকারীদেরকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। দাবীকৃত মুক্তিপনের টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে। মুক্তিপনের টাকার জন্য বাদীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার হুমকি দিতে থাকে। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানার মামলা নং-১১/১১, (২৬ জানুয়ারী) ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৮/৩০ রুজু হয়। তৎকালীন লামা থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযোগ পাওয়ার মাত্র ০৬ (ছয়) ঘন্টার মধ্যে অপহরণকারীর অবস্থান সনাক্ত করে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানা এলাকা হতে অপহরণকারী শামসু আলম (৩৯) কে আটক করে এবং অপহরণকারীর হেফাজত হতে ভিকটিম তানজিমুল হক (১০) উদ্ধার করেন।
পুলিশ অবহিত হওয়ার ৬ঘন্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং আসামী গ্রেফতার করে। পরিবার পক্ষ থেকে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শামীম শেখ ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানায়।
চকো/জে