রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে শেষ ১০০ বছরের নদীর গতিপথ, জোয়ারভাটা ও জীববৈচিত্র্যে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে পরিকল্পনাটি করা হয়েছে। তারপরও এবারের বন্যার বিষয়টি মাথায় নিয়ে জনগণ যাতে ভবিষ্যতে পানিতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেজন্য রেলপথ উঁচু ও প্রয়োজন অনুযায়ী কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানী এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলসচিব বলেন, ৫০০ মিটার জায়গার রেলপথ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। স্লিপার কোথাও বাঁকা হয়নি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, আঁকাবাঁকা রেলপথ। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলে তা মনে হবে না। লাইনের কয়েকটি স্থানে পাথর সরে দেবে গেছে। সেখানে রেললাইন একটু ঝুলে আছে। এটা এমন না যে, লোহা বাঁকা হয়ে গেছে। আপাতত সবার কাছে এটিই মনে হয়েছে। টেকনিক্যাল পারসন আরও ভালো বলতে পারবে আসলে কী হয়েছে। যদি টেকনিক্যাল পারসনরা মনে করেন লোহা বেঁকে গিয়েছে, তাহলে এটি মেরামত করে দেওয়া হবে। আপাতত আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভুঁইয়া বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে ১০ দিন কাজ করা যায়নি। অক্টোবরে রেললাইন চালু হবে এ লক্ষ্য থেকে আমরা পিছিয়ে যাইনি। এ জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। এখানে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল আহসান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মফিজুর রহমান ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম।