চকোরীর বত্রিশ বছরপূর্তিতে সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই হার্দিক অভিনন্দন ও অপরিমেয় ভালোবাসা।
আজকের সমৃদ্ধ চকরিয়ার এক ক্রান্তিকালে ‘দৈনিক চকোরী’র আত্মপ্রকাশ ছিলো প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জিং। সে সময়ে প্রকাশনা শিল্পের অপ্রতুলতা, বিশেষ করে, চট্টগ্রাম শহর থেকে পত্রিকা প্রকাশ করে মফস্বলে তা প্রচার-প্রসার ঘটানো, সত্যি দুরূহ ছিলো। অথচ এ জটিল কাজটি সেদিন সহজতর ও সাবলীল ছিলো গুটিকয়েক দক্ষ, অভিজ্ঞ পত্রিকাঅন্তপ্রাণ লোকের ঐকান্তিক আন্তরিকতার কারণে।
আমার এখনো ভাবতে ভালো লাগে, ‘দৈনিক চকোরী’ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে আমার নামটি ও ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হয়ে আছে। পত্রিকা প্রকাশের বিশাল কর্মযজ্ঞে আমি ছিলাম, নির্বাহী সম্পাদক। চকরিয়ার কৃতীসন্তান, বর্তমান সময়ের আলোচিত কবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম-এর সুযোগ্য চেয়ারম্যান, জনাব রেজাউল করিমভাই ও প্রয়াত আমান উদ্দীন খান বাবুভাই ছিলেন সহকারী সম্পাদক। বার্তা সম্পাদক ছিলেন চকরিয়ার ইতিহাস রচয়িতা, প্রয়াত মুজিবুল হক ভাই। তাঁরা ছিলেন দক্ষ এবং একনিষ্ঠ। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় সেসময়ে পত্রিকার সারগর্ভ প্রকাশনা ছিল, চকরিয়াবাসীর কাছে শ্লাঘা ও গৌরবের।
চকরিয়াবাসীর অধিকার আদায়ের একচ্ছত্র কন্ঠস্বর হিসেবে সেদিন ‘দৈনিক চকোরী ‘র আত্মপ্রকাশ ছিলো চকরিয়া তথা কক্সবাজারবাসীর জন্য এক বিরলপ্রাপ্তি।
সেদিনের পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে আজ বেঁচে নেই। তাঁদের কীর্তি ইতিহাসের খেরোখাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।
আমার যৌবনের উদ্দাম দিনগুলোতে চকরিয়ার মুখপত্র ‘দৈনিক চকোরী’র সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া ছিলো, আমার জীবনের উজ্জ্বলতম ঘটনা।
আজ তার বত্রিশ বছরপূর্তি।
বেঁচে থাকুক ‘চকোরী ‘।
শততম বছর পার করুক ‘চকোরী’। জয়তু ‘চকোরী’।।
অধ্যাপক পদ্মলোচন বড়ুয়া
প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদক।
চকো/জে