চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত করতে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ২ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফাইজারের এ টিকা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ১৬ নভেম্বর, সকাল সাড়ে ৯টায় সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে নগরীর চট্টেশ্বরী রোডস্থ চিটাগাং গ্রামার স্কুল কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে গতকাল থেকে শুরু হওয়া করোনা টিকাদান তিনটি কেন্দ্রে চলমান থাকবে। এখানে শিক্ষার্থীদের অন দ্যা স্পট রেজিস্ট্রশনের মাদ্যমে টিকা দেওয়া হবে। ২৮ দিন পর প্রথম ডোজ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে একই কেন্দ্রে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রথমে প্রত্যেক এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারপর পর্যায়ক্রমে ১২ বছরের উর্ধে সব শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিয়াঊল হায়দার হেনরী বলেন, নগরীর তিনটি কেন্দ্র চিটাগাং গ্রামার স্কুল, স্যার মরিস ব্রাঊণ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি স্কুল কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এসব কেন্দ্রে প্রথমদিনে ২ হাজার শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেহয়া হবে। এর মধ্যে চিটাগাং গ্রামার স্কুল ও মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি স্কুল কেন্দ্রে ৭৫০ ও স্যার মরিস ব্রাঊণ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেন্দ্র ৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে আমার ২৫ নভেম্বর মধ্যে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানান, শিক্ষার্থীদেরকে ফাইজারের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের সংরক্ষণ ক্ষমতা অনুযায়ী ৭ দিনের টিকা মজুদ আছে। আমরা ১২ দিন পরপর ঢাকা থেকে টিকা আনার মাধ্যমে নগরীর ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনব। উপজেলাগুলোতে টিকা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় নগরীর এসব কেন্দ্রে ক্রমান্বয়ে উপজেলার শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চিটাগাং গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক তহসিন খান, সহকারী শিক্ষিকা ইশরাত জাহান, সিনিয়র শিক্ষক জমিলা আকতার, সারোয়ার আলম, সাবরিনা আজম, সাদিয়া নিজাম অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও শৃংখলা রক্ষায় ছিলেন বিএনসিসি’র সদস্যবৃন্দ।