বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়ার পরও তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে না।
তিনি আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারে বিএনপির সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর স্হানীয় একটি হোটেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনপি ও যুবলীগের একই স্থানে সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বিএনপি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টারদিকে কক্সবাজার শহরের ঈদগাঁও মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান বলেন, সরকার মানুষের সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করা বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য কোনো স্থানের অনুমতি নেই। কিন্তু বিএনপি সমাবেশ করার চেষ্টা করছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, জনসভা করতে না পেরে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করছে।
এর আগে রাতে কক্সবাজার শহরে একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করে প্রশাসন। ফলে সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজার শহরে অবস্থিত বিএনপি অফিস সংলগ্ন শহীদ স্বরনী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ান। ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি রবিবার রাতে পুরো শহরে মাইকিং করে জনগণকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সকাল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃংখলা পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারী করা হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে কক্সবাজার শহীদ স্বরনী সড়কে আজ সোমবার দুপুর ১টায় এই সমাবেশ ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। পরে একই জায়গায় কক্সবাজার জেলা যুবলীগ পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার থেকে পুরো শহরের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশের।