আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাদের ব্যতিক্রমী প্রচারনা ও গনসংযোগ দেখে দেখে ভোটাররাও দিনদিন সরব হয়ে উঠেছেন।
অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মো.শওকত উচমান। সাবেক এই ছাত্রনেতা ২০১৬ সালের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের টিকেটে কাকারা ইউনিয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গেল পাঁচবছরে চেয়ারম্যান শওকত উচমান কাকারা ইউনিয়নের অগ্রগতি উন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করেছেন। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ জাফর আলমের সার্বিক সহযোগিতায় সরকারি বরাদ্দের বিপরীতে তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি অবহেলিত জনপদকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এখনো তাঁর ইউনিয়নে অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান আছে।
বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ। সাংসদ জাফর আলমের সহযোগিতায় গেল দুইটি অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রানালয়ের অর্থায়নে কাকারা ইউনিয়নের অন্যতম মেগাউন্নয়ন প্রকল্প বেঁিড়বাধ নির্মাণ কাজ করেছেন। এই একটি বেঁিড়বাধের কল্যাণে বিগত সময়ে ভয়াবহ বন্যার সময়ও বড়ধরণের দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে কাকারাবাসী।
আসন্ন কাকারা ইউপি নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান শওকত উচমান প্রার্থী হয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে তিনি ইতোমধ্যে ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, উঠান বৈঠক ও কর্মীসভা চালিয়ে যাচ্ছেন। করছেন গনসংযোগ ও জনগনের সঙ্গে কুশল বিনিময়। চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত উচমান বলেছেন, কাকারা ইউনিয়নে উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। সেইজন্য তিনি কাকারাবাসির সহযোগিতা চেয়েছেন।
একই ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন জনপদের প্রিয়মুখ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।
সাবেক এই ছাত্রনেতা ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হলেও পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তবে এবার তিনি দলের মনোনয়ন চাইলেও শেষপর্যন্ত নাগরিক কমিটি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন কাকারা ইউনিয়নের এসএমচরস্থ পুলেরছড়া গ্রামের মরহুম মনজুর আলম সওদাগরের ছেলে। প্রয়াত বাবার জনপ্রিয়তা এবং পারিবারিক ঐহিত্যগত সুনামের কারণে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবারের নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন চশমা প্রতীক।
মুলত রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাব উদ্দিন। বর্তমানে তিনি সকাল থেকে রাত অবদি ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এমনকি অলিগলিতে চশমা প্রতীকের জন্য ভোট চেয়ে জনগনের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।
নির্বাচনী প্রচারনা, উঠান বৈঠক, কর্মীসভা ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাব উদ্দিন প্রতিটি গ্রামে গিয়ে সববয়সের নারী-পুরুষ ভোটারদের মন জয়ের চেষ্ঠা করছেন। তিনি সবাইকে আশ^াস দিয়ে বলছেন, কাকারা ইউনিয়নে সুশাসন বলতে কিছু নেই। এক শ্রেণীর মানুষ কাকারাকে লুটেপুটে খাচ্ছেন।
প্রতিটি গ্রামে দাপটশালীদের জয় জয়কার। এই অবস্থা চলতে পারেনা। তাই পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আমি কাকারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাব উদ্দিন বলছেন, ইনশাল্লাহ জনগনের অকুণ্ঠ সমর্থনে বিজয়ী হলে কাকারা ইউনিয়নে সর্বপ্রথম সুশাসন নিশ্চিত করবো। জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। উন্নয়ন আর বরাদ্দ বন্টনের ক্ষেত্রে কোনধরণের বৈষম্য হবেনা। যা অতীতে হয়েছে। আগামীতে যাতে জনগনের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে সেইজন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশাকরি প্রিয় কাকারাবাসি আগামী ২৮ নভেম্বর সারাদিন চশমা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে তাদের খাদেম হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেবেন।