ইতিহাসের এক অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষনে তিনি অনিবার্যভাবে হয়ে উঠলেন জাতির মুক্তির প্রতিক। তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠল গোটা জাতি। সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশের মুক্তিকামী মানুষ সেদিন সমবেত হয়েছিল তার নেতৃত্বে। কয়েক শতাব্দীর পরাধীনতার শৃঙখল ভেঙ্গে আমরা লাভ করেছিলাম আমাদের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। পরাক্রান্ত সাহস, অকৃত্রিম দেশপ্রেম বলিষ্ঠ আহবান আর সর্বস্তরের মানুষের প্রতি অপরিসীম মমত্ববোধ তাকে দিয়েছিল একটি জাতির নতুন ইতিহাস নির্মানের সুযোগ। সফলভাবে সে দায়িত্ব পালন করে যথার্থই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের জনজীবনে তার প্রভাব আজও বিপুল। অমর্ত্য সেনের মতে “তাকে বাংলাদেশের জনক (জাতীর জনক) বা বঙ্গবন্ধু বলাটা নিতান্তই কম বলা। তিনি যে এর চেয়ে বড় কোন অভিধা চাননি সেটা তার সম্পর্কে আমাদের একটা সত্য জনায়- তিনি নাম কিনতে চাননি, মানুষ তাকে অন্তর থেকে ভালবাসত।”
প্রায় দুশ বছরের ইংরেজ শোষণের অবসান ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয় দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তান আবার ভৌগলিক ও সাংকৃতিভাবে বিভক্ত ছিল দুটি অংশে — পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। পশ্চিম পাকিস্তানীরা শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানকে দমিয়ে রাখার। মূলত পূর্ব পাকিস্থান থেকে অহৃত রাজস্ব ও সম্পদ নিয়ে তারা সমৃদ্ধ করে তুলেছিল পশ্চিম পাকিস্তানকে। সেই সাথে সবদিক থেকে বঞ্চিত করেছিল এদেশ ও এদেশের মানুষকে। এর প্রতিবাদে একটু একটু করে সরব হয়ে উঠেছিল পূর্ব বাংলার তাবৎ নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সময়ের চেয়ে বহুধাপ এগিয়ে থাকা প্রাজ্ঞ তরুণ নেতা শেখ মুজিব পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মমূহুর্থ থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলের এর অসারতা এবং আমাদেও করণীয়। যার দরুন প্রিয় মাতৃভূমি এবং এর মানুষকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি।
মানুষ চেনার পথে ধাবিত হলে ব্যক্তির বাহ্যিক পরিচিতি গৌণ হয়ে পড়ে। জীবনপথে বঙ্গবন্ধুর পরিক্রমণ ঠিক এ নীতিই অনুসরণ করেছিলেন। অর্থাৎ মানুষ কোনটা সৎ, কোনটা ভেজাল, কোনটা আপসকামী, কোনটা প্রতিবিপ্লবী, কোনটা অতিবিপ্লবী, এবং কোনটা প্রকৃত বিপ্লবী- এ ধারণাগুলো বঙ্গবন্ধুর কত পরিষ্কার ছিল তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়লে সম্যক ধারণা হয়। অর্থাৎ বাইরের খোলস নিয়ে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বতার তলায় আসল কাজটি কী সেটি তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। পদপদবী দিয়ে নয়Ñ ক্ষমতার দম্ভ দিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধু আইয়ুব শাসনের ভিতরের শয়তানি চরিত্রটা বুঝতে পেরেছিরেন তার অসামান্য প্রজ্ঞা ও দুরদৃষ্টির মাধ্যমে।
পাকিস্তান স্বাদীন হবার পরপর তাঁরই উপলব্ধি হয় যে বাঙালি কড়াই থেকে আগুনে পড়েছেÑ তাই আন্দোলন নতুন ভাবে শুরু করতে হবে। ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের একটি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “যতদুর মনে পড়ে, ১৯৪৭ কলকাতার পার্ক রোডের সিরাজ-উদ-দ্দেীলা হোস্টেলে একটা ঘরোয়া বৈঠক করি। সেখানে আমার সহকর্মী কয়েকজন ছাত্র নেতাকে বলেছিলাম, “ আমারা শেষ হয়ে গেছি। নতুন করে সংগ্রাম করতে হবে।”
এই ধারাবাহিকতায় নানা সঙ্কুল পথ পেরিয়ে তিনি ষাটের দশকের মাঝামাঝি ঘোষনা করেন আমাদের মুক্তির সনদ ছয় দফা, যার মধ্য দিয়ে তিনি তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপরেখা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পার্যায়টা প্রথম তুঙ্গে ওঠে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের ছয় দফা দাবি পেশ করার পরপরই। বঙ্গবন্ধুকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো কারাগারে। কারাগারে রোজনামচা গ্রন্থেও ১৪ জুন ১৯৬৬ সালের রোজনামচায় বলেছেন, Ñ “ছয় দফা দাবি পেশ করার সাথে সাথে দুনিয়া জানতে পেরেছে বা বাঙ্গালীদেও আঘাত কোথায়? ” এভাবেই তিনি জাতিকে প্রস্তুত করেন চুডান্ত লক্ষ অর্জনের পথে। স্বাভাবিকভাবে তাঁকে কেন্দ্র করেই ক্রমশ অঙ্কুরিত হয়েছিল এদেশের মানুষের মুক্তির স্বপ্ন । স্পষ্ট হয়ে উঠছিল স্বাধীনতার আলো।
ইতিহাসের বাকবদলের সেই অগ্নিঝরা মুহূর্থে লাখো ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে তিনি লাভ করেন বঙ্গবন্ধু উপাধি। তারপর ১৯৭০ সালের নির্বাচন। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রায় দিল বঙ্গবন্ধুর হাতেই তুলে দেয়া হোক পাকিস্তানের শাষনভার। এই জনআকাঙ্খার প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান না দেখিয়ে পাকিস্থান শাসকগোষ্ঠী বেছে নিল সশস্ত্র দমন পীড়নের পথ। সীমাহীন বর্বরতায় তারা দাবিয়ে রাখতে চাইল এদেশের মানুষ আর তাদের মুক্তির স্বপ্নকে।
কিন্তু বাংলার মানুষ সেদিন ভয় পায়নি। পিছিয়ে যায়নি স্বাধিকার আদায়ের প্রশ্নে। মুক্তিকামী মানুষের প্রতিনিধি হয়ে দৃশ্যপটে তখন অবিশ্বাস্য উচ্চতায় দাড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু। বজ্রকন্ঠে তিনি দিলেন সেই মহাকাব্যিক ঘোষনা-”এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম…”। মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষনে তিনি গোটা জাতীকে ঐক্যব্ধ করতে পেয়েছিলেন।
চাইলে তিনি সেদিনই স্বাধীনতা ঘোষনা করে যুদ্ধে নেমে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। মূলত এটাই ছিল স্বাধীনতার ডাক।তবে গ্রেফতার হওয়ায় আগে একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা ঘোষনা করেন বাঙ্গালি জাতির বহুকাঙ্খিত স¦াধীনতা।
”বঙ্গবন্ধু কেন ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষনা করলে না? তাহলে সেদিনই আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পারতাম।” কেউ কেউ এমন অনুযোগ করেন। আসলে বঙ্গবন্ধু জানতেন এটা কখনোই আমাদের জন্য ভাল হতো না। এবং আমরা পারতাম না। এর বড় প্রমাণ ফিলিস্তিন। ইয়াসির আরাফাত যখন স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র তুলে নিলেন, তখন কিন্তু শত্রুপক্ষ বলল গণতন্ত্র ও শান্তির পথ ছেড়ে তিনি সশস্ত্র পথ বেছে নিয়েছেন। তখন কিন্তু ইয়াসির আরাফাত গোটা পৃথিবীর সমর্থন আর পেলেন না।ফলে আজো ইহুদিরা ফিলিস্তিন দখল করে রাখতে পরেছে। কিন্তু সেদিন কি বঙ্গবন্ধুু স্বাধীনতার ঘোষনা করেননি? অবশ্যই করেছেন। তবে তিনি এত বিচক্ষণতার সাথে কাজটা করেছেন পক্ষের লোকের কাছে এটি ছিল স্বাধীনতার ঘোষনা আবার বিপক্ষের লোকের কাছে তা নয়। যার ফলে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েও পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারলনা।বঙ্গবন্ধু তার প্রজ্ঞার মাধ্যমে তাদেরকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। তারই একটি জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু যখন বলছেন ”তোমরা আমার ভাই”– কাকে ”ভাই” বলছেন? যার বিরুদ্ধে আমাদের তিনি যুদ্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। কি বলছেন? ”তোমরা ব্যারাকে থাকো। কেউ তোমাদের কিছু বলবেনা।” একটু পরেই আবার বাঙালিদে উদ্দেশ্যে বলছেন, ”তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলাকরো..”,কাকে শত্রুবলছেন? একটু আগে যাকে ভাই বলেছেন তাদের। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অসামান্য বাগ্নিতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল ৭ মার্চের সেই ভাষণে, যে কারণে ইতিহাসের শ্রেষ্ট বকৃতাগুলোর একটি হিসেবে একটি বিশ্বব্যাপি স্বীকৃতি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে এমন দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞা আমরা বরাবরই দেখেছি।
সৈয়দ হাসান ইমামের এক বিবৃতিতে জানা যায়– ”১৯৭০ সালে দেশের দক্ষিনাঞ্চল ভোলায় একটি সাইক্লোন হয়।তাতে পাঁচ লক্ষাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। কদিন পরেই ছিল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। দেশের এই অবস্থায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষণী বিবৃতি দিলেন লক্ষ লক্ষ লাশের উপর দিয়ে তিনি নির্বাচনে যাবেন না।
আমরা একদল সেচ্ছাসেবী তখন ভোলায় এাণকাজে ব্যস্ত । চারিদিকে পূঁতিগন্ধময় লাসের সারি। প্রায় ১০ হাজার লাশ আমরাই কবর দিলাম। সে এক বিভীষিকা। ফলে খুব আলোড়িত হলাম মওলানা ভাষানির কথায় টিকই তো চারদিকে এত লাশ। এর মধ্যে নির্বাচনে যাব। এদিকে বঙ্গবন্ধুু ঘোষনা করলেন তিনি নির্বাচনে যাবেন। মনে হলো, এ কেমন নিষ্ঠুরতা! দেশের এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু নিবাচনে যেতে চাইছেন কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল। সেটা আমরা বুঝতে পেরেছি পরে।
বঙ্গবন্ধু জানতেন কোনভাবেই পাকিস্থানিরা আমাদের ক্ষমতায়যেতে দিবে না। তাই তিনি সেদিন নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেন। ফলে পাকিস্তানের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি কে তা নিয়ে বিশ্ববাসীর কোন সংসয় থাকল না”
এ কারনেই অল্প কটি দেশের সরকার ছাড়া সারা পৃথিবীর মানুয় সেদিন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।একদিকে মার্কিন সরকার আমাদেও বিপক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠাচ্ছে, অন্যদিকে সে দেশের জনগণ আমাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে, সংগ্রাম করছে। অর্থাৎ নিজের দেশের সরকারের বিপরীতে দাঁড়িয়েও বিশ্ববাসির কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
এটা কিভাবে সম্ভব হলো? বঙ্গবন্ধু রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন শুধু বই পুস্তক পড়ে নয়; বরং মানুষের কাছে গিয়ে । এভাবেই অর্জন করেছন প্রজ্ঞা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা। ফলে এই দেশ ও দেশের মানুষকে তিনি খুব ভাল বুঝতেন। তিনি নিজেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বাসকরতেন এবং জনগণের দাবি রক্ষায় সচেষ্ঠছিলেন।একদিকে তিনি নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন আবার অন্যদিকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স¦াধীনতা সংগ্রামের যা আপাত দৃষ্টিদে অনেকেই বুঝতে পারেনি। কিন্তু তিনি জানতেন স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙ্গালির জন্য অনিবার্য ছিল। তাই তিনি গণতান্ত্রিক উপাওে স্বাধীনতা অর্জনের পথে হেঁটে গেছেন সেই শুরু থেকেই।
বঙ্গবন্ধুর এই রাজনীতি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ভøাদিমির লেনিন বিপ্লব করেছিলেন কিন্তু গনতান্ত্রিক উপারে নয়। তিনি জয়ী হয়েছিলেন সশস্ত্র বিপ্লবের পথ ধরে। এবং তার সহচর তার মৃত্যুর পরে হয়ে উঠেছিল জার ২য় নিকোলাস এর থেকেও নিষ্ঠুর শ্বৈরাচার।
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের যৌথ সংগ্রামে আমরা ব্রিটিশদের হতে থেকে মুক্তি পেয়েছি সত্যি, কিন্তু সেটা একটা অবাস্তব দেশভাগ এবং তা ও হয়েছে আপসে। জনগণের অংশগ্রহণ তাতে ছিল না। কিন্তু ু আমরা বঙ্গবন্ধুর কথাই দেখি, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষনার পরেই তিনি গ্রেফতার হন। তার ৭ মার্চের ভাষনকে কেন্দ্র করেই মরনপন যুদ্ধ করেছে বাংলার দামাল ছেলেরা ।যার যেভাবে সুযোগ হয়েছে সেভাবেই দেশ মাতৃকার জন্য বিলিয়ে দিয়েছে নিজেকে। বঙ্গবন্ধু নয় মাস পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে থাকলেও সর্বক্ষন বাংলার মানুষের সঙ্গে ছিলেন তিনি। তার সেই বজ্রকন্ঠের বকৃতায় রক্ত টগবগিয়ে উঠত এ দেশের মানুষের। এই কারনে তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও বাংলার জনগণকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীন হলাম আমরা। জন্ম নিল স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশ। সেই অবরুদ্ধ ৯-মাসে প্রিয় মাতৃভুমিতে বঙ্গবন্ধু সশরীওে উপস্থিত থাকতে পারেননি বটে। কিন্তু আরো বহুগুন তিনি ছিলেন এদেশের মানুষের প্রার্থনা ও হ্রদয়জুড়ে। এই দৃষ্টান্ত পৃথিবীর ইতিহাসের বিরল। ধর্ম-বর্ণ ধনী-গরিব নির্বিশেষে এমন নিরঙ্কুশ সমর্থন সত্যিই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল ইতিহাসের মহানায়ককে। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর এই মহেন্দ্রক্ষনে আমরা তাঁকে স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায়; যার ঋন জাতি কখনো শোধ করতে পারবে না।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।