কক্সবাজার ১ চকরিয়া পেকুয়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমসহ দলের ৯৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া থানায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বাদি হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন। এজাহারে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা।
মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলম ছাড়াও এজাহারনামীয় উল্ল্যেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলাম টিপুসহ ৩৫ জন নেতাকর্মী।
মামলার এজাহারে বাদি ফরহাদ হোছাইন উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ, মারধর ও ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেন আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মী।
ওইসময় হামলা গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সাঈদী, আবু তৈয়ব, এরশাদুল আলম, রেজাউল করিম মানিক, তামিম হোছাইন, মোহাম্মদ রাজু সহ অনেকে আহত হন। তবে সেসময় আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাবে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ২০২১ সালে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বাদি হয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ হোছাইন। পুলিশ মামলার আসামী ধরতে কাজ করছেন।