কক্সবাজারের টেকনাফে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুটি হাতির বাচ্চাই পাহাড় চুঁড়া থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে বন বিভাগ। বন বিভাগের দাবি, দুটি হাতির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, আজ শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরসংলগ্ন পানির ছড়ায় মৃত হাতিটি দেখতে পায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। এর আগে ২০সেপ্টেম্বর হোয়াইক্যং বনে আরও একটি হাতির শাবক মারা গিয়েছিল।
অপর দিকে ৩১ আগষ্ট রামু উপজেলার খুনিয়া পালং বনে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনায় বনবিভাগ ১২ জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিল।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এপিবিএন) এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের তারকাঁটার বেষ্টনীর বাইরে পশ্চিমে পাহাড়ের পাদদেশে পানির ছড়ার মধ্যে একটি বন্য হাতি মৃত অবস্থায় দেখা যায়। বন্য হাতি মৃত্যুর খবর শিবির এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক সাধারণ রোহিঙ্গারা ভিড় জমায়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শালবাগান এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে এসপি তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, ধারণা করা যাচ্ছে, বন্য হাতিটি আনুমানিক তিন-চার দিন আগে পাহাড়চূড়া থেকে পানির ছড়ায় পড়ে যায়। এরই মধ্যে শালবাগান এপিবিএন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
তারিকুল ইসলাম জানান, সপ্তাহখানেক আগে ওই ছড়ায় আরও একটি মৃত হাতি পাওয়া গিয়েছিল। পরে এটিকে পুঁতে ফেলা হয়।
২৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা (মাঝি) বজলুর ইসলাম জানান, বাচ্চা হাতিটি পাহাড়ের ছড়ায় মরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উৎসুক জনতা ভিড় করে। এর কয়েক দিন আগে একই স্থানে অপর একটি বাচ্চা হাতি মারা পড়েছিল। সাপের কামড়ে ও গড়িয়ে পড়ে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
টেকনাফ বিটের বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানান, মরা বাচ্চা হাতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের মাধ্যমে কী কারণে মারা গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট টেকনাফ মাঠপাড়া থেকে দুটি বাচ্চা হাতিসহ চারটি হাতির পালকে বনে ফিরিয়েছিল বন বিভাগ। এর এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কুদুংগুহা এলাকায় বাচ্চা হাতিসহ মোট ছয়টি হাতির অপর একটি পাল দেখতে পায় সংশ্লিষ্টরা।