দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠা রাউজানের কৃতি সন্তান শাহেদ আজগর চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রীসহ ৫ কন্যা সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
৮ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে নগরীর একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যু করেন। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ও বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনে তিনি শেষবারের মতো এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। পরে ৬ অক্টোবর কিছুটা অসুস্থবোধ করায় তাকে নগরীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানেই ৮ অক্টোবর সকালে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ দিন শাহেদ আজগর চৌধুরী ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফকির মিয়ার সন্তান শাহেদ আজগর চৌধুরী ছাত্র জীবনে চট্টগ্রাম কলেজের জিএস ছিলেন। পড়াশুনায় তুখোর শাহেদ আজগর চৌধুরী খেলাধুলায় ছিলেন দুর্দান্ত। ক্রিকেট, ফুটবলে স্বর্ণপদক পেয়েছেন। বাংলাদেশে সাড়া জাগানো ক্রিকেট আসর স্টার সামারেরও আয়োজক তিনি। খেলেছেন স্টার ক্লাব, মোহামেডানের মত ক্লাবে। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে নাম লেখান ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে। সেখানেও সাফল্য পান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থায় টানা একযুগ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্সসহ বিভিন্ন ক্লাব শোক জানিয়েছে।
এক শোকবার্তায় সিজেকেএস’র অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামিম বলেন, শাহেদ আজগর চৌধুরী ছিলেন অনন্য মানসিকতার মানুষ। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। কল্লোল সংঘের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য নাসির মিঞা সিজেকেএসের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন। সকলেই মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।