কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামীকে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামিদেরকে জেলহাজতে যেতে হওয়ায় ক্ষোভে জন্নাতুল মোকা নামের বিধবা মহিলার বসতঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে মহিলার অন্তত ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মহিলা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় অজ্ঞাতনামা একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। মঙ্গলবার (২৬অক্টোবর) রাত ৩ টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডস্থ মধ্যম কৈয়ারবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে মধ্যম কৈয়ারবিল এলাকার মৃত ফজল করিমের বসতঘরে হঠাৎ খড়ের গাদায় আগুন ও ধোঁয়া দেখে এলাকাবাসী তাদের ঘর থেকে বের হয়ে খড়ের আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয়রা চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী জন্নাতুল মোকা জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে আমি ও আমার পরিবারের অপরাপর সদস্যরা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে আমার বসতঘরে স্থিত খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন দিয়ে জ্বালাইয়া দেয়।
ওই সময় বসতঘরের চালে আগুন দেয়ারও চেষ্টা করে। আগুনের শিখার শব্দে ঘুম ভাঙলে তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে বের হলে দেখতে পাই বসতঘরে স্থিত খড়ের গাদা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। এসময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট আমার স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মহাসড়কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে একটি মামলা (জি.আর নং-৪৯৭/২০২১) দায়ের করি। উক্ত মামলা আসামী আল মামুন তুষার, আবদুল হাকিম ছুট্টো ও আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে বের হয়ে আসে।
বর্তমানে মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে। মূলত এ ঘটার শত্রুতার জের ধরে প্রতিহিংসাবশত আমার খড়ের গাদায় ও বসতঘরে চালে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে আমার ২০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
তবে সময়মত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ না করলে বাড়িসহ আগুনে পুড়ে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেত বলে তিনি জানান।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে। ##