কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি সদস্যরা নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।
এখন পর্যন্ত দেশের সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জব্দ নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্রিস্টাল মেথ আইস এর মধ্যে সর্বোচ্চ চালান ।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক
লেঃ কর্নেল শেখ খালিল মোহাম্মদ ইফতেখার আজ বুধবার দুপুর ১২র দিকে এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গতকাল মংগলবার মধ্য রাত পৌনে ১টার দিকে নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা থেকে আইস ও ইয়াবার এ চালানটি জব্দ করা হয়। তবে এঘটনায় মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে ।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি টেকনাফ ২ বাটালিয়ন এব ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি বিশেষ টহল টিম নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে ।
রাত পৌনে ১টার দিকে টহলদল একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকা মিয়ানমারের দিক থেকে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপের দিকে আসতে থাকে ।
নৌকাটি শূন্য রেখা অতিক্রম করে কাছাকাছি এসে পৌঁছলে বিজিবির টহলদল তৎক্ষণাত নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় নৌকার আরোহীরা বিজিবি’র চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা ঘুরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে নৌকাটিকে থামানোর চেষ্টা করে। এতে অজ্ঞাতনামা’ চোরাকারবারীরা নৌকা হতে লাফিয়ে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবি’র টহল স্পীড বোটের সাহায্যে নৌকাটি আটক করতে সক্ষম হয় ।
নৌকাটি তল্লাশী করে পাটাতনের নিচে একটি বস্তার ভিতরে লুকায়িত অবস্থায় ৪ কেজি ১৭৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ।
চোরাকারবারীদেরকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।