বান্দরবনের লামা উপজেলায় বজ্রপাতে চাচা-ভাতিজার মার্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত সেমাবার দিবাগত রাত সাগে ১২ টায় উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বাঙ্গালী পাড়া এলাকায় টং ঘরে বসে ধানক্ষেত পাহারারত অবস্থায় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এসময় দুই কৃষকের চারটি গরুও মারা যায়। নিহত হলেন লামার পাশ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্যারচর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাড়ার ইসহাক আহমদের ছেলে চাচা এনামুল হক (৫২) ও তার ভাতিজা নবী হোসেনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (১৫)। তারা দীর্ঘদিন ধরে লামার ফাইতং এলাকায় চাষাবাদ করে আসছিল।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াবুল করিম বলেন, তারা চাচা-ভাতিজা হাতি থেকে রক্ষা পেতে গাছের উপর তৈরী করা দ্বিতল বিশিষ্ট টং ঘরে বাস করত। ঘটনার সময় তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লক্ষ্যারচরের বাড়িতে থাকলেও চাচা-ভাতিজা টং ঘরের উপর বসে ধান পাহারা দিচ্ছিল। ওই সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাত হলে টং ঘরে এসে পড়ে। দুটি টং ঘরসহ চাচা-ভাতিজা পুড়ে মারা যায়।
উল্লেখ্য, বজ্রপাতে নিহত শহীদুল ইসলামের পিতা নবী হোসেন ৭ বছর আগে একই এলাকায় ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বন্য হাতির আক্রমনে মারা যায়। ওই ঘটনার পর থেকে লম্বা গাছের উপরে টং ঘর তৈরী করে ক্ষেত খামার পাহারা দিয়ে আসছিল তার পরিবারের লোকজন।
ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বাঙালিপাড়ায় বজ্রপাতে দুইজনের মত্যু হয়েছে। তারা বাগানে গাছের উপর টং ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। মঙ্গলবার রাতে প্রচন্ড বজ্রপাতে রাতের কোনো এক সময় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা এলাকায় বজ্রপাতে দরিদ্র দুই কৃষকের চারটি গরু মারা গেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্থ বাসু কুমার দে বলেন, ‘গরুগুলো গোয়ালঘরে ছিল। রাতে প্রচুর বজ্রপাত হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি গরু তিনটি মরে পড়ে আছে।’বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর।