মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে শহরের মানুষ সচেতন হলেও সচেতন নয় গ্রামের মানুষ। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন ও করোনা প্রতিরোধে করণীয়তা নিয়ে নোঙরের বাস্তবায়নে পথ নাটক ‘সচেতন হই’ পরিবেশন করে অরণ্য গণনাট্য দল।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টায় উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা বাগান পাহাড় এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ নাটক পরিবেশন করেছেন উখিয়ার অরণ্য গণনাট্য দল। এ সময় তারা নাটকের মাধ্যমে বর্তমান ইস্যু করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন ও করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান ও হ্যান্ডসেনিটাইজার দিয়ে ভালো করে হাত ধেয়ার মাধ্যমে ভালো থাকার বিষয় এবং বোস্টার ডোজ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
হরিণমারা গ্রামের সেলিনা বেগম জানান, আমরা করোনা সম্পর্কে শুনেছি কিন্তু আমরা নোঙরের কমিউনিটি প্রটেকশন গ্রুপের মাধ্যমে সচেতনতামুলক বার্তা প্রদান করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। আজ আমরা এ সম্পর্কে করনীয়তা নাটকের মাধ্যমে আরো ভালোভাবে জানতে পেরেছি ।
হরিণমারা গ্রামের আমিন ও হারুন মিয়াসহ অনেকে জানান, নাটকের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি সচেতন ও সঠিক নিয়ম মানলে করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আজ থেকে আমরা এই গ্রামের নারী-পুরুষ সকলে মিলে করোনা প্রতিরোধে সকল নিয়ম মেনে চলব। বোস্টার ডোজ গ্রহণ করে আমরা নিজেরা নিরাপদ থাকবো এবং গ্রামের মানুষকে সচেতন করে তুলবো।
নোঙরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সালেহ আহমেদ মজুমদার জানান, আমরা কমিউনিটি লিডারদের সাথে কোভিড ১৯ বিষয়ে সচেতনতা সভা,বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সভা, উঠান বৈঠক এবং বোস্টার ডোজ চলাকালীন সময়ে মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছি।
ইউনিসেফ ও এডাবের সহায়তায় কক্সবাজার সদর ও উখিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের নারী ও পুরুষদের করোনা থেকে বাচাঁর জন্য করণীয়তা নিয়ে নাটক পরিবেশন ও সচেতন করে যাচ্ছি। এতে গ্রামের মানুষ করোনা সম্পর্কে অনেক সচেতন হচ্ছে।
তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ উপজেলায় ১২ টি পথনাটক পরিবেশন করা হবে। নাটকের মাধ্যমে কমিউনিটি লোকদের সচেতন করা ও বোস্টার ডোজ গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছি আমরা। উল্লেখ্য, নাটকটি বায়স্তয়ন করেছে নোঙর ও সহায়তা করেছে ইউনিসেফ ও এডাব।
পথ নাটক পরিবেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন এডাবের জেলা সমন্বয়কারী হারুন অর রশিদ, নোঙর এর প্রকল্প ব্যবস্হাপক সালেহ আহমেদ মজুমদার, প্রকল্প কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফিজিওথেরাপিস্ট শারমিন সুলতানা, শাহীন আলম ও এনামুল হক।