চাঁদাবাজি মামলায় রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু তালেব সহ দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন আবেদন করেন। এসময় বিজ্ঞ বিচারক আখতার জাবেদ জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃত আবু তালেব রামু উপজেলার পশ্চিম নোনাছড়ি গ্রামের মৃত ছৈয়দ মাঝির ছেলে ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য। গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি মকতুল হোছেন রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামের মালেকুজ্জামানের ছেলে।
জানা গেছে, রামুর মধ্যম মেরংলোয়া এলাকার পৈত্রিক সূত্রে ও খরিদমুলে মালিক আবদুল গনির স্বত্ত¡ দখলীয় জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার মকতুল হোছেন ও আবু তালেব গংদের।
এদিকে আবদুল গনি নিজের মালিকানাধীন উক্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করতে চাইলে অভিযুক্তরা আবদুল গণির কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীসহ নানাভাবে হুমকি ধমকি ও প্রাননাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবু তালেব ও মকতুল হোছেন গংকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা (নং সিআর ২৮৮) দায়ের করেন আবদুল গনি। ওইসময় বিজ্ঞ আদালত রামু থানাকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী সম্প্রতি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নেয়। বুধবার সকালে মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব ও মকতুল হোছেন বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। এসময় বিজ্ঞ আদালত উভয়ের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি আবদুল গনি জানান- ইউপি সদস্য আবু তালেব ও তার সহযোগিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।