দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে আজ মংগলবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় কেয়ারি ক্রুজ নামের জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রওনা দেয়।
পর্যটকবাহী এ জাহাজটি ফিরে আসার পর নৌ রুট নিরাপদ কিনা বিবেচনা করে পরবর্তীতে অন্যান্য পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সেটি ফিরে আসার পর নৌ রুট নিরাপদ কিনা বিবেচনা করে পরবর্তীতে অন্যান্য পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি জানান এতদিন সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের জেটি ঘাটটি সংস্কারকাজ চলমান থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। জেটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কেয়ারি ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস জাহাজের টেকনাফ অফিসের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার সকালে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন রওয়ানা দেয়। এর পুর্বে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন দফতরের অনুমতি নেয়া হয়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। অবশেষে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় সেন্টমার্টিনে দ্বীপে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। পর্যটকদের জন্য হোটেল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে আসবে বলে মনে করেন সকলে।
অপর দিকে দীর্ঘদিন পর সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে ভ্রমণ করতে পেরে পর্যটকেরা উচ্ছ্বসিত।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনা, প্রতিকূল আবহাওয়া ও সেন্টমার্টিন জেটি চলাচল অনুপযোগীর কারণে দীর্ঘদিন নিয়মিত পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেনি। এ ছাড়া ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের জেটির ব্যপক ক্ষতি হয়।
জেটি সংস্কারের পর কিছুদিন আগে সেন্টমার্টিন জেটি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসনের একটি টিম। পরে সবকিছু বিবেচনা করে আজ মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।