মহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ হওয়ার পরও বিদ্যুৎ সংয়োগ পায়নি, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক জৈয়রকাটায় এলাকার ২শতাধিক পরিবার।
১২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জৈয়রকাটা এলাকার নারী-পুরুষ স্থানীয় আলীর ঘোনা জামে মসজিদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন,জৈয়রকাটা এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি তারা।বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এলাকার স্কুল,মাদ্রাসা, কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে,বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জনতারা আরো বলেন,আমাদের আশেপাশের এলাকা গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। কিন্তু আমাদের এলাকার প্রায় ২শতাধিক পরিবারে এখনো বিদ্যুৎ পায়নি। অনেক বার বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেছি।
তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের বাড়ি ও স্থানীয় জামে মসজিদের বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কোনো দূর্যোগের সময় আমরা সহজে সতর্ক হতে পারিনা। এটি আমাদের বড় ধরনের সমস্যা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও দূর্যোগের সতর্ক বার্তা পেতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন।আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকা মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার শর্তেও আমরা বিদ্যুৎ পাইনি, এটি অত্যন্ত দু:খজনক। বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় চুরি, ডাকাতির মত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।রাতে অন্ধকারে কে চুরি করছে, আর কে ডাকাতি করছে বুঝাই যায়না। একটা বড় সমস্যা আছি। এগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদ্যুৎ অত্যন্ত জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল আলীর ঘোনা মসজিদের খতিব মাওলানা আনছারুল করিম, আব্দুল খালেক, শওকত, জাফর আলম, শাকেরা বেগম, নুরুল নাহার প্রমুখ।
এই বিষয়ে মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম নাজমুল হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এলাকাটিতে খতিয়ান ভূক্ত ও সরকারি খাস জমির বিষয়ে বন বিভাগের আপত্তি আছে।যার কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে