দ্বিতীয় দফায় প্রায় ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ শুরু হচ্ছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিনই ক্লাস হবে। দুই শিফটে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের জন্য নির্ধারিত ড্রেস পরে স্কুলে আসতে শুরু করে। করোনা মহামারির কারণে অ্যাসেম্বলি না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে একজনের পর একজন করে শিক্ষার্থী স্কুলের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করে। এদিন অনেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরাও এসেছেন।
প্রবেশপথে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মাস্ক পরেছে কিনা তা যাচাই করে স্কুলে প্রবেশ করান। সকাল সাড়ে ৯টায় ঘণ্টা বাজিয়ে ক্লাস শুরু হয়। শ্রেণি শিক্ষকরা ক্লাসে এসে প্রথমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে রোল কল করেন। এরপর যথারীতি পাঠদান শুরু হয়।
দ্বিতীয় দফায় প্রায় ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার শিশুদের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাস। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে কিনা, তা নিয়েও তাদের মধ্যে শঙ্কা
সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তুহিন জানায়, স্কুল বন্ধ থাকায় লেখাপড়ার তেমন চাপ ছিল না। ক্লাসের পড়া মুখস্ত করে যেতে হবে এমন কোনও বাড়তি চাপ ছিল না। একই কথা জানালেন ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিফসহ অনেকে। তবে আবারও তাদের নতুন করে শিক্ষাজীবন শুরু করতে পেরে খুবই খুশি তারা।
সোনাইছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ মুহসিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসেছে খুবই ভালো লাগছে। করোনার কারণে দীর্ঘ একবছর সাতমাস স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের আগমনে স্কুল আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে, আমরাও তাদের প্রথম দিনে গোলাপ ফুল ও চকলেট দিয়ে স্কুলে স্বাগতম জানিয়েছি।