নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় আউশ ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কৃষকরা এখন আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর আউশ ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ার আশায় কৃষকরা উচ্ছ্বসিত।
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম অর্থকরী কৃষিপণ্য হিসেবে ধান বদলগাছীর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রচুর আউশ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বদলগাছী উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা উপজেলার মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বদলগাছীতে ২১০০ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-৮৮, ব্রি ধান-৪৮, ব্রি ধান-৮২, ব্রি ধান-৮৫, ব্রি ধান-৯৮, বিনা ধান-১৯, এবং বিনা ধান-২১ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, উপজেলায় এবার ১২ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, “আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন। ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধানের আবাদ জনপ্রিয় করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।”
বদলগাছীর কোলা ইউনিয়নের ভাণ্ডারপুর ব্লকে ধান কাটার চিত্র দেখা যায়। মাঠে কাজ করা কৃষক তাপস মালী জানান, “চার বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর ইসলাম সবসময় আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি, বাজারেও ভালো দাম পাব।”
উপজেলায় চলতি আউশ মৌসুমে ধানের ভালো ফলন এবং সুষ্ঠু বাজারমূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকদের জীবনে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।