দশ দিগন্ত। নামের মাঝেই বিশালতার ছোঁয়া। রামু সেনানিবাসের একটি রেস্টুরেন্ট। শুধুই কী রেস্টুরেন্ট? সবুজ পাহাড়ের গায়ে গড়ে তোলা বিশাল রাজ্য জুড়ে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। আশপাশে আছে আরও কতকিছু! প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন এখানেই ডালপালা ছড়িয়েছে।
এই রেস্টুরেন্টটির আশপাশে ঘুরে বেড়ানো ও দেখার জন্যে আছে অজেয় বাংলা,দশদিগন্ত জাদুঘর, জলাধার ও নানা ফুল ও ফলের সমাহার।
এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যেতে আছে পাকা সিঁড়ি ও টাইলস বসানো পরিপাটি রাস্তা। সারিবদ্ধ ফুলের ভেতর দিয়ে হেঁটে যেতে কোনো ক্লান্তি নেই। ভিন্ন ভিন্ন ফুলের সুভাষে অন্যরকম অনুভূতি জাগায়। আছে পাহাড়ের ভাজে ভাজে বসে আড্ডায় মজে থাকার ব্যবস্থা। পাখপাখালির কলতান ও ঝিঝি পোকার সুরেলা কণ্ঠ যে কেউ বিমোহিত হবেন।
কর্মময় জীবনের অবসাদ দূর করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দর সময় কাটাতে আর কী লাগে?
প্রায় ৮ মাস আগে এই দশ দিগন্তের যাত্রা। এটি পর্যটননগরী কক্সবাজারে ঘুরে বেড়ানোর আরও একটি নতুন ঠিকানা। অবশ্যই সেনানিবাসের ভেতরে হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে যেতে কিছু নিয়ম ও শৃঙ্খলা মানতে হয়। আপাতত বেলা ৩ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধরণের জন্য দশদিগন্ত রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি ক্লাব উন্মুক্ত। বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্যে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ও বাইরে আছে আনন্দ উচ্ছ্বাসের বাড়তি ব্যবস্থা।
কক্সবাজার শহর থেকে রামু সদরের চৌমুহনী হয়ে অনায়াসে দশ দিগন্তে যাওয়া যায়। অবশ্যই লিংক রোড় হয়ে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়ক দিয়েও যাওয়া যায়।
সবচেয়ে ভালো রামু হয়ে যাওয়া। এ পথে যেতে যেতে ক্যাপ্টেন হীরাম কক্সের বাংলো,রাংকুট বৌদ্ধ বিহার,বোটানিক্যাল গার্ডেন,নারিকেল বাগানসহ নানা দর্শনীয় স্থান দেখা যায়।
রামু বোটানিক্যাল গার্ডেন পার হলেই সেনানিবাসের এলিপ্যান্ট গেইট। এই গেইটে নেমে একটু হেঁটে বা গাড়ি নিয়ে ঢুকলেই দশ দিগন্ত।