চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি অভিযানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা তিনটি সমিল উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় তিনটি সমিলের যন্ত্রপাতি ও প্রায় ৫০ ঘনফুট চোরাই গাছ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইদিনের অপর অভিযানে চকরিয়া পৌর শহরের কাঁচা বাজারে বিভিন্ন গুদাম ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার পিপি ও পলিথিন ব্যাগ জব্দের পর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফখরুল ইসলাম। অভিযানে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দীনসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দীন জানান, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝের ফাঁড়ি এলাকায় মাতামুহুরী নদীর তীর ঘেঁষে অবৈধ পন্থায় করাতকল বসিয়ে পাহাড় থেকে আহরিত গাছ চিরাই করতো। এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় ফোর স্টার, টু স্টার ও মিনার সমিল নামের তিনটি করাতকলের মালিকেরা বৈধ কোন কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখাতে না পারায় উক্ত করাতকল উচ্ছেদ করে সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও করাতকল থেকে জব্দ করা হয় অন্তত ৫০ঘনফুট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও করাতকলের যন্ত্রপাতি। জব্দকৃত মালামাল ডুলাহাজারা বন বিটের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। এরই আলোকে সরকারী আদেশ অমান্য করে চকরিয়া পৌর শহরের বিভিন্ন দোকানে পলিথিন ও পিপি বিকিকিনি করায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দোকান ও গুদাম থেকে পলিথিন বিক্রি ও মজুদ করার অপরাধে ৩ ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা ও নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করে পরিবেশ বিনষ্টকারী এসব পিপি ও পলিথিন ধ্বংস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার পিপি ও পলিথিন ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি কাঁচাবাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, কাঁচা মাছ বেচা-কেনায় পিপি ছাড়া দেয়া-নেয়া যায়না। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় মাছসহ বিভিন্ন পণ্য বেচা-কেনায়, নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তারা দাবি করেছেন।