পশ্চিমবঙ্গের মৌসম ভবনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এটি বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে ‘দানা’।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার স্বাগরদ্বীপের স্থলভাগে।
ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।
মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুই রাজ্যেই ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলাতে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ও দক্ষিণ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হাওড়া ও হুগলি জেলায় বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রুটের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি