ছয় মাসেও শেষ হয়নি ঈদগাঁও বাজারের ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রম।
ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এপর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। নির্মিত এ ড্রেন নিয়ে ব্যবসায়ীসহ বাজারবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির শেষ নেই দোকানদার ও স্থানীয়দের। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধের পথে। গাড়ি আনা- নেওয়াও করা যাচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে চলে গেছে কেহ কেহ। ড্রেনে পানি চলাচল না হওয়ায় ক্রেতা- বিক্রেতাদের সমাগমের পরিবেশ নেই।
সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ছয় মাস পূর্বে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দেড় মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো অর্ধেক কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। মহাসড়কের বাস স্টেশন থেকে শুরু হয়ে ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিণ পার্শ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত বিদ্যমান ড্রেন উন্নয়নের এ কার্যক্রম।
ঈদগাঁও বাজারের বাসিন্দা ও রাবার শিল্প উদ্যোক্তা মঞ্জুরুল হক চৌধুরী এ প্রতিনিধির কাছে ব্যাপক ক্ষোভ ঝাড়েন নির্মানাধীন ড্রেনের বিষয়ে।
তিনি জানান, ঈদগাঁও বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে ডিসি রোডের পাশেই তিনি দীর্ঘদিন সপরিবারে বসবাস করছেন।
বাড়ি সংলগ্ন তার অনেক দোকানপাটও রয়েছে। মূল সড়ক থেকে ৬ ইঞ্চি নিচে গর্ত খুঁড়া হয়েছে ড্রেনের উন্নয়নের জন্য।
ফলে রাস্তার সমুদয় পানি এসব গর্তে এসে জমা হয়েছে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত পানি ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
তিনি অতি সত্বর নালার কাজ শেষ করে জন ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানান।
ঈদগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদুল করিম গুন্নু জানান, জন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রাণিসম্পদ কল্যাণ অফিসের পূর্ব পার্শে ড্রোনের মুখ মাসের পর মাস খোলা থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফেরি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। যারা এতদিন ড্রেনের স্ল্যাবের উপর বসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন তারা অনেক আগেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন। দ্রুত এ অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।
চকো/জে