প্রায় দীর্ঘ ছয়মাস পর সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। বেলা ১২টার পরে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছায়।
বুধবার সকাল থেকে জেটি ঘাটে ভিড় করেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। এ সময় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক জমির চৌধুরী জানান, প্রায় ৩ বছর পর প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি। প্রতি মৌসুমে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, সেটি হয়ে উঠেনা।পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসে খুবই আনন্দ পাচ্ছি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্রগ্রামের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা নয়ন শীল জানান, কোনো জাহাজ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য আমরা তদারকি করছি। প্রথম দিন ৫১৭ জন যাত্রী নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ জাহাজ সেন্টমার্টিন রওনা করে। এ জাহাজে সাড়ে আটশ যাত্রী ধারণের ক্ষমতা আছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রথম দিন আমাদের জাহাজ ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা হয়। সমুদ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই ১২ টায় জাহাজটি সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়। আবার বিকেল ৩ টার দিকে সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজটি টেকনাফের দিকে রওনা হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনানা চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে ওই পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৫০০ এর বেশি ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত মার্চের মাঝামাঝি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল। ওই সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক, শহীদ আব্দুস সালাম, এমভি পারিজাত, এমভি রাজ হংস, সুকান্ত বাবু, এমভি বে ক্রুজ এবং এমভি বার আউলিয়া জাহাজ চলাচল করত। যদিও ২৬ সেপ্টেম্বর বার আউলিয়া জাহাজে করে জেলা প্রশাসনের একটি পর্যবেক্ষক দল দ্বীপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঘুরে এসেছিলেন।