মহেশখালীর হোয়ানকের পশ্চিমে হেতালীয়া লবণ ঘেরে ফেরদৌস এবং মীর কাসেম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ লবণচাষি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টার সময় হোয়ানক ইউনিয়নের হেতালিয়া ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক রাউন্ড গুলি করা হয়। ওই এলাকায় এখনও উত্তেজনা চলছে।
আহত তিন লবণচাষি হলেন- কুতুবদিয়ার লেমশীখালীর নুরুল হকের ছেলে মো. জামাল উদ্দীন, হোয়ানক কালালিয়া কাটার আবুল কালামের ছেলে মো. জমির ও কেরুনতলীর ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. নেজাম। আহতদের প্রথমে মহেশখালী হাস্পাতালের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান , অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে হোয়ানকের ফেরদৌস এবং মীর কাসেম গ্রুপের মধ্যে হেতালিয়া ঘোনার লবণ মাঠের জমি এবং চিংড়ি প্রকল্প দখল-বেদখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ৪ হাজার মণ লবণসহ মীর কাসেম গ্রুপের একটি ভলগেট সাগরে ডুবিয়ে দেন ফেরদৌস গ্রুপের সদস্যরা। এ নিয়ে দিনভর উত্তেজনা চলে। এর এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে কাসেম গ্রুপের লবণ চাষিদের ওপর ফেরদৌস গ্রুপের লোকজন গুলি করে। এ সময় দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মীর কাসেম গ্রুপের তিন লবণ চাষি এবং ফেরদৌস গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হেতালিয়া ঘোনা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সমাধান করে দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল মীর কাসেমের লোকজন উমখালী ঘোনায় কাজের সময় আমার লোকদের বাধা দেন,এতে সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে তারা অস্ত্র নিয়ে এসে মাঠে কর্মরত আমার লোকদের উপর হামলা করেন।এতে আমার বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। তারা চিকিৎসাধীন আছে। তার কাছ থেকে তিনজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি জানেন না।
বিষয়টি নিয়ে মীর কাসেম চৌধুরী বলেন, ফেরদৌস গ্রুপের সঙ্গে মহেশখালীর সন্ত্রাসীরা মিলিত হয়ে আমার লোকজনের ওপর গুলি করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনার বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী নিকট জানতে চাইলে,তিনি বলেন, হেতালীয়া ঘোনায় দু’পক্ষের ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
চকো/জে