পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকা কর্মসূচিতে অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুদেরও দেখা গিয়েছে।
“কীভাবে মেরুদণ্ড সোজা করে বাঁচতে হয়, সেটা শেখাতেই ছেলেকে আজ এনেছি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা একজন মা হিসাবে আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। আজ ছেলেকে যদি ন্যায়ের জন্য লড়াই না শেখাই তাহলে আরেক সন্তানহারা মা আমায় ক্ষমা করবে না,” বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন শর্মিষ্ঠা পাল।
বছর বারোর ছেলেকে নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় দফার ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে এসেছিলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার এবং নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে অন্যান্য সহ-নাগরিকদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন অঞ্চলেতার। তার সন্তান কলকাতার একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
ঠিক কিছুটা দূরে ওই একই চত্বরে রাত দেড়টাতেও ঠায় বসেছিলেন আরেক মা, সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া ছেলে। সামনে সারি দিয়ে জ্বালানো মোমবাতি নেভার উপক্রম হলেই ছেলেকে পাঠাচ্ছিলেন তার শিখা আড়াল করতে, বা নতুন মোমবাতি জ্বালাতে। দেশলাই বাক্স থেকে কাঠি জ্বালিয়ে এগিয়ে দিচ্ছিলেন ছেলের দিকে।
জিজ্ঞাসা করায় বললেন, “কাল ছেলের স্কুল আছে ঠিকই কিন্তু এই লড়াইটাও তো দরকার। মা হিসাবে ঠিক-ভুল শেখানোর দায়িত্ব আমার।” তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছেন ছেলের হাত ধরে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে শ্যামবাজার চৌরাস্তার মোড়, বাগুইহাটি, বেহালা, নিউ টাউন-সর্বত্র। দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, শিলিগুড়ি, বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ছোটরাও।গত কয়েক সপ্তাহে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে শিশুদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে অনেকের।
সেই দৃশ্য চোখ এড়ায়নি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সমরেশ পালেরও। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মি. পাল বলেছেন, “আমি অফিসের কাজ সামলে ধর্মতলা, কলেজ স্কোয়্যার, যাদবপুর- যখন যেখানে সম্ভব হয়েছে জমায়েতে গিয়েছি বা মিছিলে হেঁটেছি। প্রত্যেকটা জায়গায় অভিভাবকদের দেখেছি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সন্তান্তদের আনতে।”
“মায়েদের লক্ষ্য করেছি বাড়ির কাজ সামলে, বাচ্চাদের হাত ধরে মিছিলে হাঁটতে। একাধিক বাচ্চাকে দেখেছি রাস্তায় বসে পোস্টার আঁকছে, আর মা তার মুখে টিফিন তুলে দিচ্ছেন। এর চেয়ে পরম তৃপ্তির দৃশ্য আর কি হতে পারে?”
পেশায় শিক্ষিকা সুদেষ্ণা সেনশর্মা বলেন, “এই রাজ্যে প্রতিবাদ হতে বা মিছিলে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের হাঁটতে আগেও দেখেছি। কিন্তু আরজি করের ঘটনার পর যে দৃশ্য দেখছি সেটা নজিরবিহীন।”
“কোলের শিশু থেকে শুরু করে টিনেজার, সব বয়সের বাচ্চাদের দেখা গিয়েছে মিছিলে বা জমায়েতে এবং সেই সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। শিক্ষিকা হিসাবে এমনটা আমি আমার ১৫ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি।”
উত্তর ২৪ পরগনার একটি উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা তিনি।
তার কথায়, “গত কয়েক বছরে তো এমন (ধর্ষণ ও খুন) ঘটনা কম হয়নি। কিন্তু মানুষকে এইভাবে দফায় দফায় রাস্তায় নামতে বা প্রতিবাদে সোচ্চার হতে গিয়ে তার বাচ্চার হাতধরে বাড়ির চার দেওয়ালের বাইরে এইভাবে বেরিয়ে পড়তে দেখিনি।”
“গত কয়েক সপ্তাহে অভিভাবকদের সঙ্গে রাস্তায় বেরনো বাচ্চাদের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। তারা (অভিভাবকেরা) বুঝেছেন চুপ থাকা যাবে না আর সেটাই ছেলে-মেয়েদের শেখাতে চাইছেন। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক, ভরসার দিক। বাবা মায়েরা চাইছেন তাদের সন্তান দুধে-ভাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদেও থাকুক।”
শিশুদের সঙ্গে করে অভিভাবকদের প্রতিবাদে সামিল হওয়াকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা তৃষা ভট্টাচার্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তার আট বছরের মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন।
তিনি বলেন, “প্রথমে এত ছোট মেয়েকে নিয়ে যাব কি না ভেবে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। তারপর তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। একটা ভিডিওতে ওঁকে বলতে শুনেছিলাম-যদি রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে তাহলে ১৮ বছরের নিচের মানুষদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
“তারপরই মনস্থির করে ফেলেছিলাম। যদি ঠিক-ভুলের বিচার শেখাতে হয়, প্রতিবাদ করাটা শেখাতে হয় তাহলে আর দেরি করা যাবে না।”
যে ভিডিও প্রসঙ্গে মিজ ভট্টাচার্য কথা বলছিলেন, সেটা গত মাসের। ওই ভাইরাল ভিডিওতে তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মোনালিসা মাইতিকে তার স্কুলের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে শোনা যায়। ছাত্রীদের অনেকেই প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটার কথা জানিয়েয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই মিছিলের আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
ভিডিওতে মোনালিসা মাইতি ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছিলেন তারই একটা অংশে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল- “এটা বুঝে রাখো, যদি রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে তাহলে ১৮ বছরের নিচের মানুষদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি একটা ১২ বছরের মেয়ের ধর্ষণ আটকাতে না পারি তাহলে একটা ১২ বছরের মেয়ের সিদ্ধান্তকে আমাদের মর্যাদা দিতে হবে।”
এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কথাগুলো অনেক তৃষা ভট্টাচার্যর মতো অনেক অভিভাবককেই উৎসাহ দিয়েছে তাদের সন্তানদের প্রতিবাদে সামিল করতে।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কিন্তু একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখা গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিবাদ জানাতে।
তার জন্য কিছু ক্ষেত্রে সরকারী স্কুলকে রোষানলে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গিয়েছে কিশোর কিশোরীদেরও। বছর ১৪র সুমন দাশের মা জানিয়েছেন, ছেলেকে এই কর্মসূচিতে নিয়ে আসার বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার পরিবার।
তিনি বলেন, “অভিভাবক হিসাবে এই বয়সটা খুব সন্তর্পণে কাটানোর সময়। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই ঠিক করি ছেলেকে এই মিছিলে নিয়ে আসব। ওর বন্ধুদের মা-বাবারাও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ওরা চোখের সামনে দেখে শিখবে ঠিক-ভুল। প্রতিবাদের অর্থ বুঝবে। এটাও বুঝবে যে শুধু নিজে ভাল থাকলে হয় না।”
আরেক অভিভাবক সীমন্তিনী রায় জানালেন তার বয়ঃসন্ধিক্ষণে থাকা কন্যা এবং পুত্র সন্তান দুজনকেই বুঝিয়েছেন বেশ কয়েকটা জরুরি কথা।
তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে যেমন শিখিয়েছি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু হলে জোর গলায় না বলতে। তেমনই ছেলেকে শিখিয়েছি না শুনতে। দুটোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই যে ওরা মিছিলে হাঁটছে, পাঁচজনকে দেখছে, এতে ওরা আরও বেশি করে শিখবে।”
বুধবার রাত নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত ঘরের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা যেখানে সামিল হন রাজ্যবাসী। তবে শুধুমাত্র সেখানেই সীমিত থাকেনি বুধবারের রাত। ১৪ই আগস্টের পর আরও একবার রাত দখলের কর্মসূচিরও সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গ। বিচারের দাবি জানিয়ে আলোয় পথ ভরিয়ে তোলার যে আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছিল, তাতেও সামিল হয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। কেউ পথে নেমে, রাত জেগে আর কাউবা বাড়িতে।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাছে একটি গলিতে বুধবার রাতে একটা মিছিলে কচি কাঁচাদের দেখা গিয়েছিল। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা দাশ বলেন, “আসলে প্রতিবাদ করতে শেখাটা খুব দরকার এবং সেটা এই বয়স থেকেই। শিশুমনকে আমরা যেভাবে গড়ব তার উপরেই তো তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।”
দক্ষিণ কলকাতার এক বয়স্ক দম্পতিকে দেখা গিয়েছিল তাদের বাড়ির সামনেই মোমবাতি হাতে বিচারের দাবি জানাতে। এই দম্পতি জানিয়েছিলেন, তাদের বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম ঠিক বিচার এনে দিতে পারবে।
প্রায় একই বিশ্বাস নিয়ে বুক বেঁধেছিলেন বারুইপুরের এক মা। তার দেড় বছরের সন্তান সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ায়, রাত দখলের কর্মসূচিতে সামিল হতে পারেননি। কিন্তু তার মতো করে প্রতিবাদ জানাতে ভোলেননি।
তিনি বলেন, “আমার ছেলে দু’দিন আইসিইউতে ভর্তি ছিল। ওকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকেই মনে হচ্ছে আমার কোলে তো বাচ্চাটা ফিরে এসেছে, আর এক মায়ের তো কোল শূন্য হলো। তার কতটা কষ্ট হচ্ছে।”
“ছেলে বাড়ি ফিরলেও ওর শারীরিক অবস্থার কারণে আমি রাত দখলের কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। কিন্তু বাড়ির আলো নিভিয়ে রেখেছিলাম এক ঘণ্টা। ছেলেটা ছোট আমার কোলে ঘুমচ্ছিল। কিন্তু মেয়েকে বলেছি এই আলো নিভিয়ে রাখাটাই আমাদের প্রতিবাদ।”
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গত কয়েকদিনে যেমন স্লোগানে মুখর মিছিল দেখা গিয়েছে তেমনই দেখা গিয়েছে মৌন মিছিলও। প্রতিবাদ মঞ্চে শিশুদের দেখা গিয়েছে আবৃত্তি করতে, নাচ বা গান করতে।
কোথাও দেখা গিয়েছে মেয়ের সঙ্গে মাও গোলা মিলিয়েছেন গানে।
দীপান্বিতা সোম তার মেয়েকে নিয়ে একাধিক কর্মসূচিতে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “লালবাজার অভিযানের সময় চিকিৎসকরা যখন অনড় হয়ে ধর্নায় বসেছিলেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে, তখনও আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম স্কুল থেকে ফেরার পথে। রাস্তায় বসে থাকা চিকিৎসকদের দেখিয়ে ওকে বুঝিয়েছিলাম সঠিক সিদ্ধান্তে অনড় থাকাটা কতটা প্রয়োজন।”
“ওর থেকেও ছোট বাচ্চাদের দেখেছিলাম ধর্নায় বসা চিকিৎসকদের দিকে জলের বোতল এগিয়ে দিতে বা লজেন্স দিতে। দেখে চোখ জুড়িয়ে গিয়েছিল।প্রতিবাদীদের পাশে থাকাটাও যে একধরনের প্রতিবাদ সেটা ওদের শেখা দরকার।”
বিশেষজ্ঞর মতামত
পেরেন্টিং কনসালটেন্ট পায়েল ঘোষ জানিয়েছেন, আন্দোলনে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের সঙ্গে বেরিয়ে আসার বিষয়টা সমাজের জন্য ইতিবাচক।
তার কথায়, “এটা সত্যিই খুবই ইতিবাচক বিষয়। সাধারণ মানুষের এই আন্দোলনের তিনটে বৈশিষ্ট্য আছে। প্রথমত এখানে ব্যালেন্স আছে। দিনের কাজ নিয়মিত করেও অভিবাবকদের প্রতিবাদ চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা বাচ্চাদের কাছে একটা ভাল বার্তা দেয়। যার অর্থ হল কাজ করে যেতে হবে, তার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বক্তব্য জানাতে হবে।”
“দ্বিতীয়ত শান্তি বজায় রেখে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার অর্থ পরিণত মনস্কতার পরিচয় দেওয়া। তৃতীয়ত বাড়ি থেকে বাচ্চাদের হাত ধরে বাবা-মায়েরা যে বেরচ্ছেন, তাতে বাচ্চারা শিখছে কিছু সময়ে বাড়ির বাইরে বেরনোটা প্রয়োজন। এই তিনটে কাঠামো সুস্থ সমাজ গঠনের লক্ষণ।“
একইসঙ্গে তিনি অন্য একটা বিষয়ও বলেছেন। “আরজি কর হাসপাতালের পুরো ঘটনায় যে শক্তির আস্ফালন, নৃশংসতা-এই বিষয়গুলো একটু বড়, বিশেষত বয়ঃসন্ধির বাচ্চাদের বোঝানো দরকার। তা হলে তারা বুঝতে পারবে দমন, ক্ষমতা প্রদর্শন বা আগ্রাসন ঠিক নয়। নিজেদের জীবনেও বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন অন্যের উপর ক্ষমতা প্রদর্শন করলে তারা রুখতে চাইবে।”
কিন্তু যেখানে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে আলোচনা করা কতটা কঠিন?
বিশেষজ্ঞ পায়েল ঘোষ বলেছেন, “খুব স্বাভাবিক ভাবেই অনেক বাচ্চারাই জিজ্ঞাসা করবে ধর্ষণ কী? বিষয়টা সামাল দেওয়া সহজ নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে বয়স মাথায় রেখে তাদের বুঝিয়ে বলা দরকার যে কেউ যদি গোপনাঙ্গ জোর করে স্পর্শ বা সেখানে আঘাত কিম্বা আক্রমণ করে সেটা অপরাধ। আরজি করের ঘটনায় এটাই হয়েছে। এটা যে কোনও দাদার সঙ্গেও হতে পারত।”
“তাদের মতো করে বুঝিয়ে বলাটা খুব দরকার যাতে তারা নিজেদের সঙ্গে হলে রোখার চেষ্টা করতে পারে বা এই সম্পর্কে কোনও ভুল ধারণা তৈরি না হয়।”
সূত্র: বিবিসি