কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসওর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়াস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তার নাম শামসুল আলম। তিনি ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক জি-৯-এর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দুজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কী কারণে, কেন এই হত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের একজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অপরজনের মরদেহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পে গেছে। ফেরার পর বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহত শামসুল আলমের ছোট বোন হাসিনা বেগম বলেন, ‘আরসার লোকজন ভোরে ক্যাম্প থেকে আমার ভাইকে ডেকে পাহাড়ে নিয়ে যায়। বিকালে জানতে পারি ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন মারা গেছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের তথ্যমতে, এ ঘটনায় আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল, পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শামসুল আলমের মরদেহ মর্গে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক কমিউনিটি নেতা জানিয়েছেন, আরএসও নেতা মৌলভী রহিম উল্লাহ এবং আরসা নেতা নবী হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন ছাড়াও আরও কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের মরদেহ পাহাড়ে আরসার আস্তানায় রয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।