কুমিল্লার তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ বাদল রিয়াজের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া।
গত বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে ধরা পড়েন বাদল। তাঁর বাড়ি তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামে।
ডিবি পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার বাদল রিয়াজ যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে দুবাই চলে যান। গত বুধবার বিকেলে দুবাই থেকে ভারতের আগরতলা হয়ে দেশে ফেরার পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে ধরা পড়েন তিনি। তাঁকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা রিয়াজের বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেছিলাম। তাঁর পাসপোর্টটি কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। তিনি আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এলে তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’ তিনি বলেন, হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে বাদলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকায় বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে। এ ঘটনায় ২ মে রাতে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।