এশিয়া কাপের এবারের আসরে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত দল আস্থার প্রমাণ দিতে পারেনি।
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবার পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজেও তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে কেন নাঈম শেখ, তানজিদ তামিমদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় গিয়েছে দল সে প্রশ্ন তুলেছেন টিম ডিরেক্টর এবং বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে তিনি দলে চান বলেও জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সুজন ভরসার আরেক নাম হিসেবেই পরিচিত। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দলের দায়িত্বে নেই তিনি। এদিকে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর টিম ডিরেক্টর হিসেবে আবার ফিরেছেন তিনি। ফিরেই জানিয়েছেন টাইগারদের সার্বিক বিষয় নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।
তারুণ্যে ভরা দল নিয়েই এবার এশিয়া কাপ মিশনে নেমেছিল বাংলাদেশ। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও জায়গা হয়নি স্কোয়াডে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে শুধুমাত্র একটি ম্যাচই এখনো পর্যন্ত জিততে পেরেছে টাইগাররা। নাঈম, শামীম পাটোয়ারী, আফিফরা নিজেদের যোগ্য প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাই বিশ্বকাপের মত বড় আসরে রিয়াদকেই দলে চান সুজন। একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে আর রিস্ক নেয়া কতটা ঠিক হবে এটা আমার প্রশ্ন। তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপের প্রেশার নিতে পারবে কিনা? এশিয়া কাপে কিন্তু প্রেশার নিতে পারেনি। আমি রিয়াদকে দলে চাই। কারণ, ওর (রিয়াদ) অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’
আবার টিম ডিরেক্টর হিসেবে অধিনায়ক সাকিব এবং তামিম ইকবালের মধ্যকার দুরত্ব কমাতেও তিনি কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। সুজন বলনে, ‘আমি বলছি না যে, তামিম-সাকিবকে বেস্ট ফ্রেন্ড হতে হবে এটা আমি চাই না, তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা জাগুক সেটাও আমি চাচ্ছি না। কিন্তু দেশের হয়ে যখন খেলবে তখন তাদের সর্বোচ্চ যোগাযোগ করতে হবে। সেটা মাঠে, মাঠের বাইরে যোগাযোগের এতো দরকার নাই। তাদের মধ্যে যদি কোনো ভেদাভেদ থাকে, এই ভেদাভেদগুলো শেষ করতে হবে, আমরা যদি বিশ্বকাপে ভালো করতে চাই। আমি মনে করি এটা তামিমের বাংলাদেশ, আমি মনে করি এটা সাকিবের বাংলাদেশ, আমাদের সবার বাংলাদেশ।’
সাবেক কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এবং তখনকার অধিনায়ক তামিমের মাঝেও দুরত্ব তাঁর মধ্যস্থতায়ই কমেছে জানিয়ে সুজন বলেন, ‘রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে তামিমের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেটাও কমাতে আমি চেষ্টা করেছি, এরপর তাদের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। আমার ইচ্ছে আছে, হাথুরুকেও (হাথুরুসিংহে) চিনি, তামিমকেও চিনি তারা দু’জনই খুব ইমোশনাল। আমিও ইমোশনাল, তাই ইমোশনাল মানুষগুলোকে জোড়া লাগাতে হবে এটাই আমার কথা।