কক্সবাজারের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় কর্মরত রোহিঙ্গাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা বাতিল সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি। এ বিষয়ে রবিবার (২৬সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনির্দিষ্ট কিছু রোহিঙ্গার তালিকা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ফাহমিদা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৮০ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আগমন শুরু করেছে। তখন থেকে এসব রোহিঙ্গা নানা উপায়ে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পেশায় জড়িত হয়ে পড়ে। অনেকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসাবাস শুরু করেছে। ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গার তৃতীয় এমনকি চতুর্থ প্রজন্ম বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পরে তারা ক্যাম্প থেকে নিয়মিত বের হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অনেক রোহিঙ্গার কর্মকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, কক্সবাজার শহরতলীসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ইমাম, মোয়াজ্জিন, মসজিদের পরিচালক অথবা শিক্ষক হিসাবে রোহিঙ্গারা কর্মরত আছেন। রোহিঙ্গারা নানা কৌশলে সংশ্লিষ্টদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার তালিকায়ও নাম ওঠিয়েছেন। অনেক রোহিঙ্গা স্থায়ী হওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে। তাই জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় কর্মরত নতুন-পুরাতন রোহিঙ্গাদের তালিকা করে দ্রæত তাদের সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা বাতিল করা দরকার। যে সমস্ত মসজিদ বা মাদরাসায় রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের কাছে লিখিত চিঠি পাঠাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি আহবান জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
স্মারকলিপি দানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইফার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সরওয়ার আকবর, কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, সহ সভাপতি নুরুল আজিম সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম খাইর এবং প্রচার সম্পাদক মোঃ নেজাম উদ্দিন।