কক্সবাজারের পেকুয়ায় বারবাকিয়া পাহাড়িয়া খালী এলাকা থেকে গরু ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় রাতে টহল পুলিশের সামনে পড়েলে পুলিশের গাড়িতে গুলি করে ডাকাত দল।
পরে ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পেকুয়া সদর আবদুল হামিদ সিকদার পাড়া এলাকা থেকে জনতার সহয়তায় দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তবে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসয়ম তাদের কাছ থেকে চারটি গরু ও পিকআপ গাড়ীসহ একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমানপাড়ার মো.কায়কোবাদের ছেলে মো.শোয়াইব (৪২) এবং চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনার আবুল কাশেম প্রকাশ চোরা কাশেমের ছেলে মো. জাহেদ (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড়িয়াখালী এলাকার মঞ্জুর আলমের গোয়ালঘরের দরজা ভেঙে চারটি গরু ডাকাতির পর পিকআপে বারবাকিয়া বাজার-ধনিয়াকাটা সড়ক দিয়ে ধনিয়াকাটা স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল ডাকাত দল। এ সময় পেকুয়া থানার পুলিশের একটি টহল দল ওই সড়ক দিয়ে বারবাকিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল।
ডাকাতের গাড়ি ও পুলিশের সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি হলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও একটি অস্ত্র, গরুসহ একটি পিকআপ ফেলে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। পরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আবদুল হামিদ সিকদারপাড়া এলাকা থেকে দুজনকে আটক করে স্থানীয় জনতা। স্থানীয় জনতা তাঁদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পেকুয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়া এলাকা থেকে একটি মিনি পিকআপে করে বেশ কয়েকটি গরু ডাকাতি লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় টহল পুলিশ টিমের গাড়ি ও ডাকাতদের গাড়ি মুখামুখি হলে পুলিশ দেখে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। তবে পুলিশের টহল টিমের সদস্যরা একজনকে জাপটে ধরে পাশের বিলে পড়ে যায়। এসময় ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আরও বলেন, বিষয়টি থানায় অবহিত করলে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে স্থানীয় লোকজনও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। এসময় পালিয়ে যাওয়ার সময় আরও একজনকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আটকরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা নিয়মিত গরু, মহিষ, ছাগল, গাড়িসহ বিভিন্ন দামি জিনিস ডাকাত করে। এ দলের সদস্যরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে এসব অপকর্ম করে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাদের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।