জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো চলেছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার বাস ও সিটি এলাকার গণপরিবহন চলাচল। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও বেশিরভাগ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরীসহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। অপরদিকে এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নিচ্ছে প্রাইভেটকার, বাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ প্যাডেল চালিত রিকশাগুলো।
শনিবার (৬ অক্টোবর) সরেজমিনে নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কালুরঘাট, বহদ্দারহাট, নতুনব্রীজ, মুরাদপুর, অক্সিজেন, চকবাজার, টাইগারপাস, আগ্রাবাদ, অলংকার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন কারখানা ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় কর্মজীবী মানুষ মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।
নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ পিক আপ বা ট্রাকে, কেউ বাইকে আবার কেউবা প্রাইভেটকার এবং রিকশায় করে ছুটে চলেছেন গন্তব্যে।
নগরীর মোহরা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে চকবাজারের ভাড়া ৮ টাকা। আজ সে ভাড়া ২০ টাকা। এভাবে জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোন মানেই হয় না।
এদিকে পরিবহন চালকরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। আর মালিকরা বলছেন, ভর্তুকি দিয়ে তারা গাড়ি চালাতে দেবেন না।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার বাসও। নগরীর কদমতলী, একেখান ও গরীবুল্লাহ শাহ এলাকার বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে খবর নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার যাত্রীবাহী কোন বাস ছেড়ে যায়নি। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস বন্ধ রেখেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বাস-মিনিবাস পরবহণ শ্রমিক নেতা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “তেলের দাম বাড়ানোর বিরুপ প্রভাব পরিবহন মালিক শ্রমিক উভয়ের উপর সমানভাবে পড়েছে। মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবহন বন্ধ রাখার ফলে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছে তেমনি পরিবহন শ্রমিকরাও কষ্টে আছে। তাই আমরা চাই এ সমস্যার দ্রæত সমাধান হোক।”