জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে চলছে পরিবহন ধর্মঘটে। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। চলছে না পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও বেশিরভাগ গণপরিবহন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীসহ আশেপাশেরর বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নিচ্ছে প্রাইভেটকার, বাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো।
৫ অক্টোবর, শুক্রবার সরেজমিনে নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা, কালুরঘাট, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, অক্সিজেন, চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার বন্ধের দিনেও বিভিন্ন কারখানা ও বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় কর্মজীবী মানুষ মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউবা বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। নিরুপায় হয়ে কেউ পিক আপ বা ট্রাকে, কেউ বাইকে আবার কেউবা প্রাইভেটকারে ছুটে চলেছেন গন্তব্যে।
নগরীর মোহরা এলাকার বাসিন্দা সোহেল বলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে চকবাজার ভাড়া নেয় ৮ টাকা। আজ সে ভাড়া নিয়েছে ২০ টাকা। এভাবে জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোন মানেই হয় না।
এদিকে পরিবহন চালকরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বিদ্যমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। আর মালিকরা বলছেন, ভর্তুকি দিয়ে তারা গাড়ি চালাতে দেবেন না।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার বাসও। নগরীর একেখান ও গরীবুল্লাহ শাহ এলাকার বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে খবর নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৬টি বাস যাওয়ার কথা থাকলেও সবগুলো বাতিল করা হয়েছে।
পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও দিয়েছে বাস কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বাস-মিনিবাস পরবহণ শ্রমিক নেতা মো শহীদুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর বিরূপ প্রভাব পরিবহন মালিক শ্রমিক উভেযরই উপর সমানভাবে পড়েছে।
মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবহন বন্ধ রাখার ফলে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছে তেমনি পরিবহন শ্রমিকরাও কষ্টে আছে। তাই আমরা চাই এ সমস্যার দ্রæত সমাধান করা হোক।