শিক্ষাশালা নামে কোচিং সেন্টারের ধর্ষনের শিকার ছাত্রী মারা গেলেন, চট্রগাম মেডিকেলে।আইসিইউতে এগারো দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এই এসএসসি পরীক্ষার্থী। ধর্ষনের অভিযুক্ত শিক্ষক জিসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চট্রগাম মহানগরীর ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ এর কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে, শিক্ষাশালা নামের কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন হামিদ মোস্তফা জিসান( ২৪)ও তার বন্ধুরা।সহপাঠী ও স্বজনদের তথ্যমতে ওখানে পড়ার সুবাদে জিসানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এনএনসি স্কুলের শিক্ষার্থী আদিবার।
নিহতের পরিবার দাবী কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে আদিবা অন্তসত্তা হয়ে পড়লে, জিসান বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।গত ১৪ ফেব্রুয়ারী আদিবা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে, গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাস্পাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত আদিবার মামা ইকবাল হোসেন জানায়,আদিবাকে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান অবৈধভাবে সম্পর্কে জড়ায়।পরে তা মোবাইলে ধারণ করে। তা দেখিয়ে একাধিক বার শারিরীক সম্পর্ক করে।
প্রায় দশদিন চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে রোববার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আদিবা।এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চান নিহতের পরিবার।
নিহতের চাচা গোলাপ রহমান বলেন, আমার ভাতিজিকে আমরা আর পাবো না। এই চলে গেছে।আমি এটার দৃষ্টান্তমুলক একটা বিচার চায়। পরবর্তীতে যাতে কেউ এগুলো করতে না পারে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল আদিবার। এদিকে ঘটনার পর থেকে বন্ধ আছে কোচিং সেন্টার টি। স্কুলের ভেতর কোচিং সেন্টার পরিচালনার বিষয়ে ক্ষুদ্ধ স্থানীয় জনতা।
তারা বলেন, স্কুলের ভিতর কোচিং সেন্টার থাকবে কেন?কোচিং সেন্টার থাকবে আলাদা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষক জিসানকে গ্রেফতারের পর। একদিনের রিমান্ড শেষ কারাগারে পাঠায়া পুলিশ।
এডিসি -নর্থ সিএমপি পঙ্কজ দত্ত জানায়। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি পরবর্তীতে আদালতে আবেদনের প্রক্ষিতে আদালত ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।রিমান্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।আমরা আসামির দিক থেকে আমরা কোনো স্বীকারোক্তি আদায় করতে পারিনি।
ধর্ষনের অভিযুক্ত শিক্ষক জিসান মহেশখালী কুতুবজুম পশ্চিমপাড়ার বাবুলের (৪০)পুত্র।
চকো/জে