কক্সবাজারের টেকনাফে ৪টি স্বর্ণের বারসহ আরাফাত নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবক টেকনাফের জাদিমুড়া শরণার্থী ক্যাম্প-২৭ এর বাসিন্দা। বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের একটি চালান অবৈধভাবে টেকনাফ স্থলবন্দরে প্রবেশ করবে, এমন গোপন সংবাদের খবরে কোস্ট গার্ডের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় একজন ব্যক্তিকে বন্দরের মেইন গেইট দিয়ে বের হয়ে সড়কে আসতে দেখা যায়। উক্ত ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে থামার সংকেত দিলে কক্সবাজারগামী একটি সিএনজিতে উঠে পালানোর চেষ্টাকালে আরাফাত (৩৫)কে আটক করা হয়।’
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমড়ে পলিথিন মোড়ানো ৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ধৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত ছিল। স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারীকে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় সোর্পদ করে এবং জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো কাস্টমস হাউজে জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থলবন্দরে এক ব্যবসায়ী বলেন, স্থলবন্দরটি একটি চোরাচালান কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে। যার কারণে প্রায়সময় অবৈধভাবে আসা চালান গুলো বন্দর দিয়ে আসে। কারবারিরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে বন্দর থেকে বের হয়ে যায়। এতে বন্দরের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
স্থলবন্দর আরেক ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সীমান্ত বাণিজ্যের নামে দীর্ঘ দিন ধরে মিয়ানমার থেকে মাদক-স্বর্ণের চালান পাচার করে আসছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের মুখোমুখি করা দরকার। অন্যতায় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।