চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে পুর্বশত্রæতার জেরধরে বসতবাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে কতিপয় দুর্বৃত্তরা।
ওইসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠাকালে হাত ভেঙ্গে গেছে তছলিমা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধুর। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসায় ঘটনার সময় তাঁর শিশু ছেলে সায়েম ও মেয়ে ছালেহা বেগমকেও মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার ২৪ অক্টোবর সকালে বদরখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভেরুয়াখালী পাড়া গ্রামে ঘটেছে এ হামলা ঘটনা।
আহত গৃহবধু তছলিমা বেগম ওই গ্রামের দিনমুজুর জহিরুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে আহত গৃহবধু বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এতে আসামি করা হয়েছে, করচপাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে মো.লোকমান, ভেরুয়াখালী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক রুবেল।
এজাহারটি গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনজুরুল আলম বলেন, এজাহারটি তদন্তের জন্য বদরখালী পুলিশ ফাঁিড়র এএসআই জাহাংগীর আলমকে ন্যাস্ত করা হয়েছে।
চকরিয়া থানায় জমা দেয়া এজাহারে বাদি তছলিমা বেগম জানান, পারিবারিক শত্রæতার জেরধরে অভিযুক্ত আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। ওইসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমাকে টেনে হেচঁড়ে শাররীকিভাবে শ্লীলতাহানির চেষ্ঠা করে। ঘটনার সময় তাঁরা আমাকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করে। আমি আতরক্ষার্থে হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে আমার বাম হাতটি কেটে যায় এবং ভেঙ্গে যায়।
আহত গৃহবধু তছলিমা বেগম জানান, ঘটনার সময় আমাকে উদ্ধারে চেষ্ঠা করেন আমার মেয়ে ছালেহা বেগম ও শিশু ছেলে সায়েম। ওইসময় হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধর করে। আমি এ ঘটনায় চকরিয়া থানার ওসি ও বদরখালী পুলিশ ফাঁিড়র কর্মকর্তাদের কাছে ন্যায় বিচার চাই। ##